উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রধান দেবাযানী সর্দার রায়ের বাড়ি ব্যায়াম সমিতিপাড়া এলাকায়। গলি রাস্তার ধারে তাঁর বাড়ি। ২০১২-তে তাঁরা ওই একতলা বাড়িটি কেনেন। বাড়িটি তৈরি ১৯৯৫ সালে। কিন্তু বাড়ি-সহ ওই এলাকা অনেকটাই নিচু। সামান্য বৃষ্টিতেই একতলার ঘরে জল ঢুকে যায়। নর্দমার নোংরা জলে যন্ত্রণার একশেষ অবস্থা হয়। বাইরে বেরলেও হাঁটু সমান জল! সুরাহার সন্ধানে প্রধানের স্বামী দিবাকর রায় স্থানীয় এক ইঞ্জিনিয়ারকে ডাকেন। বাড়ি উপরে তোলার আইডয়িাটা তিনিই মাথায় ঢোকান।
এরপর ইউটিউব সার্চ করে ওই সংস্থার কাজ দেখার পাশাপাশি তাদের ফোন নম্বরও নেন প্রধানের স্বামী। প্রথমে ওই সংস্থার কথায় ভরসা রাখতে পারেনি তাঁরা। মনে ভয় ঢোকে যে, এত টাকার বাড়ি উঁচুতে টেনে তুলতে গিয়ে যদি ফেটে যায়, কিংবা একদিক ভেঙে পড়ে! তখন তো বিপদের শেষ থাকবে না। তখন ওই সংস্থা অন্যান্য জায়গায় কাজের ছবি ও অভিজ্ঞতার কথা জানায়। এরপর ভরসা করে ওই সংস্থাকে বাড়ি তোলার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সংস্থার কর্মীরা গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছেন। ধীরে ধীরে গোটা বাড়িটা মাটি ছেড়ে প্রায় তিন ফুট উঁচুতে উঠে গিয়েছে। আর এই কর্মযজ্ঞ দেখতে সাধারণ বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ছে।
ওই সংস্থার কর্ণধার শিবচরণ সৈনি বলেন, এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত বাড়ি তুলতে হলে প্রতি বর্গফুটে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। তার থেকে বেশি হলে পরিস্থিতি বুঝে দাম ধার্য করা হয়। বাড়ি এক জায়গা থেকে অন্যত্রও সরানো যায়। আমরা চুক্তির ভিত্তিতে এই কাজ করে থাকি। ১০ বছর পর্যন্ত বাড়ি ঠিক থাকার ওয়্যারান্টিও দিই। তবে ১০০ বছরেও বাড়ির কোনও সমস্যা হবে না।
দেবযানী দেবী বলেন, ওই সংস্থার কথা শুনে প্রথমে ভয় পেলেও পরে ভরসা করি। এখন দেখছি, ভরসা করে ঠিকই করেছি। বাড়িটি বেচে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলাম। এখন তো পুরনো বাড়িটি আরও শক্তপোক্ত হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র