উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়। যাঁরা বড় ঠিকাদার, তাঁরা অনেক সময়ে কম রেট দিয়ে কাজ আদায় করে নেন। কিন্তু তারপর তাঁরা ফেলে রাখেন। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। জানা গিয়েছে, যে ঠিকাদাররা একাধিক কাজ নিয়ে বসে রয়েছেন, অথচ সেই সব কাজের অগ্রগতি নেই, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, পরিষেবার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা হবে না। জেলা পরিষদের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে তাঁদের কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি। যে করেই হোক, রাস্তা মেরামতির কাজে গতি আনতে হবে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা সড়ক যোজনা ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের টাকায় গত দু’বছরে জেলার অনেকগুলি রাস্তা সারাইয়ের জন্য টেন্ডার করা হয়েছিল। এরমধ্যে অন্তত ৩০টি রাস্তার কাজ থমকে রয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জেলাশাসকের পরামর্শে রাস্তার হাল নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে জেলা পরিষদ। তখনই নজরে আসে, অন্তত দুটি ঠিকাদার সংস্থা ১৪টি কাজ ধরে রেখেছে। কিন্তু সেই কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। একইভাবে দু’টি বা তিনটি কাজ ধরে রেখেছে, এমন ঠিকাদার সংস্থার সংখ্যাও কম নয়। জেলা পরিষদের হিসেব, পাণ্ডুয়ায় চারটি, আরামবাগে একটি, গোঘাটে দুটি, খানাকুলে দুটি, সিঙ্গুরে একটি রাস্তার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এমনকী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের নিজের এলাকা চণ্ডীতলায় পাঁচটি রাস্তা সংস্কারের কাজ বছরের পর বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। বেগমপুরেও একটি রাস্তার কাজ হাতে নেওয়ার পর তা ফেলে রেখেছে ঠিকাদার সংস্থা। ফলে যাতায়াতের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ঠিকাদারদের বক্তব্য, রাস্তার পরিসর বাড়াতে হলে কোথাও কোথাও জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে আপাতত সেসব সমস্যা মিটেছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ কাজে হাত দেওয়ার পর করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ও লকডাউন শুরু হওয়ায় শ্রমিকরা অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। আনলক পর্বে রাস্তা মেরামতির কাজে ফের হাত দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিক সমস্যাই এখন আমাদের মাথাব্যথার বড় কারণ।