উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দু’পাতার নির্দেশে গিরিশবাবু জানিয়েছেন, গত চার বছর ধরে তাঁর কোনও সহকারী নেই। গত দু’বছর কমিশনের উপ-সচিব ছিল না। ২০১৯ সালের জুন থেকে মানবাধিকার কমিশনের বিচারবিভাগীয় সদস্য পদ ফাঁকা। গত ছ’মাস ধরে সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) পদে লোক নেই। ‘নেই রাজ্যে’ রয়েছে কমিশনের এডিজি, এসপি পোস্ট। চেয়ারম্যানের অভিযোগ, কমিশনের এসপি স্বাতী বাঙ্গালিয়াকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এডিজির চার্জ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই আইপিএস অফিসার কলকাতা পুলিসে যোগ দেন। চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া কীভাবে কমিশনের এসপি অন্যত্র বদলি হয়ে গেলেন, তা নিয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজির কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন চেয়ারম্যান। শুধু তাই নয়, কমিশনের কর্মী-শূন্যতায় ভোগা রোগের পাশাপাশি কর্মরতদের কাজের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গিরিশবাবু। তাঁর মতে, নবান্ন ইচ্ছামতো কমিশনে ডেপুটেশনে লোক পাঠায়। তাঁরা যখন এই কাজে রপ্ত হয়ে যান, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই তাঁদের অন্য দপ্তরে বদলি করে দেওয়া হয়। পরিবর্তে বিকল্প কর্মী পাঠানো হয় না।
চেয়ারম্যানের কথায়, এক শ্রেণীর কর্মচারীর কাছে কমিশন ‘আসি যাই পাইনে পাই’ ধরনের হয়ে গিয়েছে। কাজের মূল্যায়ন করা হয় না। উদাহরণ দিয়ে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, গত ডিসেম্বর মাসের অভিযোগপত্র আট - দশ মাস পরও সরকারিভাবে কমিশনের খাতায় ওঠে না। প্রাক্তন এই প্রধান বিচারপতি বলেন, সাধারণ মানুষের মানবাধিকার সুনিশ্চিত করতে এই সংস্থা। কিন্তু যেভাবে কমিশন চলছে তাতে সাংবিধানিক এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য লঙ্ঘিত হচ্ছে। গোটা বিষয়টিকে ‘অ্যাকট অব কনটেম্পট’ বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ যে কায়দায় কমিশন চলছে তা পুরোপুরি বেআইনি। স্পষ্ট এই অভিযোগ করেছেন কমিশন প্রধান। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবকে এই সংক্রান্ত জবাব দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন গিরিশচন্দ্র গুপ্ত। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি বর্তমান অবস্থা নিয়ে অবহিত নই। তবে গিরিশবাবু যে ভাষায় চিঠি লিখেছেন, তাতে স্পষ্ট রাজ্য সরকার মানবাধিকার কমিশনকে গুরুত্ব দেয় না। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কমিশন ব্যর্থ। অশোকবাবু আরও বলেন, আমার সময়ে অনেক সুপারিশ করতাম। তার অধিকাংশ রাজ্যের বিরুদ্ধে যেত। কিন্তু, সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কমিশন সফল হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের এই প্রাক্তন বিচারপতির মতে, মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্যই কমিশন গঠন করা হয়েছিল। আশা করব, রাজ্য সরকার সেটাকে যথাযথ গুরুত্ব দেবে।