বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেলডাঙা, ডোমকল, জলঙ্গির মতো এলাকাগুলিতে অনেকেই সকেট বোমা তৈরি করতে পারে। সুতলি বোমা তাদের কাছে সেকেলে হয়ে গিয়েছে। সেসবের চাহিদাও এখন আর নেই। তাই তা তৈরি করা অনেকদিন আগেই দুষ্কৃতীরা কমিয়ে দিয়েছে। সকেট বোমা অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। তা তৈরি করাও যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। তুলনায় বোতল বোমা তৈরি করার খরচ অনেকটাই কম। একটা কাচের বোতলে পরিমাণমতো বারুদ দিলেই তা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে বোতল কেনারও দরকার হয় না। চারপাশে পড়ে থাকা কাচের বোতলেই তা তৈরি করা সম্ভব। তাছাড়া তা ব্যবহারও খুব সহজেই করা যায়। ছুঁড়ে দিলেই বিস্ফোরণ হয়। কাচ ভেঙে ক্ষতির সম্ভবনাও অনেক বেশি থাকে। পুলিস জানিয়েছে, সম্প্রতি জেলাজুড়েই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারে জোর দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫০টির বেশি বোমা উদ্ধার হয়েছে। সেগুলির বেশিরভাগই সকেট বোমা। মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, বোমার পাশাপাশি কয়েকদিন আগে রানিনগর থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বোতল বোমাগুলি কে বা কারা তৈরি করছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন থানা এলাকাতে আমাদের অভিযান চলবে। জেলার বেশ কিছু এলাকার দুষ্কৃতীরা সারা বছরই বোমা তৈরির কাজে যুক্ত থাকে। বিভিন্ন নির্বাচনের আগে তাদের কদর বেড়ে যায়। সেসময় তারা বিভিন্ন ধরনের বোমা সামনে আনে। কিন্তু এখন নির্বাচন নেই। তারপরও বোমার রমরমা বেড়েছে। এক আধিকারিক বলেন, জেলায় পাচার বা ঘাটের দখলের জন্য দুষ্কৃতীদের কাছে বোমার চাহিদা সব সময়ই থাকে। নির্বাচনের সময় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। বোতল বোমায় একটু আঘাত লাগলেই বিস্ফোরণ হয়ে যাবে। তা উদ্ধারের পর সতর্কভাবে নিষ্ক্রিয় করতে হয়। যে কোনও মাপের বোতলেই বারুদ ভরে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। ডোমকলের নির্দিষ্ট একটি এলাকা থেকেই ওই ধরনের বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে।