বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
কী করে এই ৮৫ শতাংশ বোরো ধান রক্ষা করা সম্ভব হল? সূত্রের খবর, কৃষিদপ্তর সারা বছর আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে। সেই সূত্রে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহেই মৌখিকভাবে বড় ধরনের ঝঞ্ঝা হওয়ার ইঙ্গিত পায়। তার ভিত্তিতে ২৭ এপ্রিল বিভিন্ন জেলায় কৃষকদের সতর্ক করে মাঠ থেকে ধান দ্রুত তুলে নেওয়ার জন্য মাইকে প্রচার চালানো হয়। তার ফলে ২৮ এপ্রিল থেকেই চাষিরা ধান তুলতে শুরু করেন। কিন্তু, লকডাউনের কারণে পর্যাপ্ত মজুর না-মেলায় সেই কাজ যথেষ্ট ব্যাহত হয়। জানা গিয়েছে, রাজ্যে মোট সাড়ে ১২ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। উম-পুনের আগে বাকি জমির ধান নিরাপদ জায়গায় সরাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এই পরিমাণ জমির ধান মাঠে থাকায় ঝড়-জলে নষ্ট হয়েছে।
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, বিধ্বংসী সাইক্লোন পাট, তিল, মুগ, বাদাম, ভুট্টার খেত অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজ্যে মোট কৃষিজমির পরিমাণ সাড়ে ৪৩ লক্ষ হেক্টর। তার মধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষতিরই হিসেব দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার মতো। তবে অল্পস্বল্প ক্ষতির হিসেব ধরলে তা আরও কিছুটা বেড়ে পাঁচ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিধ্বস্ত ১৬টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ২৪ পরগনা। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুর এই তালিকায় রয়েছে। বোরো ধান সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে।