বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্যজেলায় করোনা প্রথম থাবা বসিয়েছে মে মাসের শুরু থেকে। প্রথমদিকে নমুনা সংগ্রহ কম হওয়ায় দু’-একটি করে পজিটিভ ধরা পড়ছিল। এখন টেস্টের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১২০। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আক্রান্তদের প্রায় সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। রামপুরহাট শহরের দু’জন বাদে বাকিরা এই মহকুমার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। যার মধ্যে অধিকাংশ নলহাটি, মুরারই, পাইকর, মাড়গ্রাম, রামপুরহাট ও ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার। প্রায় প্রতিদিনই এই ব্লকগুলি থেকে পাঁচ-ছ’জন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে। রবিবার রাতেও রামপুরহাট-১ ব্লকের এক ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। গত ২৮মে তিনি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যালের ফিভার ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাঁর ট্রুন্যাট পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে। নিশ্চিত হতে নমুনা পাঠানো হয় কলকাতায়। রবিবার রাতে সেখান থেকেও রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। রামপুরহাট শহর লাগোয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিকে রামপুরহাট করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, গ্রামাঞ্চলে যেভাবে করোনা প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে তা খুবই দুশ্চিন্তার। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু বা অন্য রাজ্য থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের সকলকেই কোয়ারেন্টাইন করা না গেলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। গ্রামের লোক না এলে শহর অচল। ফলে, শহরাঞ্চলেও তা ছড়িয়ে পড়বে। অনেকেই নজর এড়িয়ে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ঢুকে পড়ছেন। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছেন না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পুলিস নিয়ে গঠিত ব্লক টাস্ক ফোর্সকে সেদিকে নজরদারি বেশি করে রাখতে হবে। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(১) ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, যে সমস্ত এলাকায় পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে সেদিকে নজরদারি রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক, স্যানিটাইজার বা সাবান ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে সংক্রমণ রোধে কী করবেন, কী করবেন না তা মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। এদিকে গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন করা হয়েছিল। ঘোষণার চারঘণ্টার মধ্যেই লকডাউন শুরু হয়ে গেল। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর জন্য চারদিন কী সময় দেওয়া যেত না। তখন তো সারাদেশে মাত্র ৬২৬জন আক্রান্ত ছিলেন। সেই সময় শ্রমিকদের হাতে টাকাও ছিল। যখন মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন শ্রমিকদের পাঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই সমস্ত শ্রমিক সংক্রামিত হয়েই এখানে আসছেন। ফলে, আক্রান্তের হার বাড়ছে। এটা কেন্দ্রের দূরদর্শিতার অভাব।