বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
মহকুমা শহর হওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন শহর ও বহু গ্রামের বাসিন্দাকে রামপুরহাটে এসে বাস ধরে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের দূরবর্তী স্থানে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু, এতদিন সরকারি কোনও বাসস্ট্যান্ড না থাকায় রামপুরহাটের লোটাস প্রেস মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে সেই সমস্ত মানুষজনকে দূরপাল্লার বাস ধরতে হতো। ফলে, রামপুরহাটে সরকারি বাসডিপো গড়ে তোলার দাবি দীর্ঘদিনের। সেইমতো ২০১৮ সালে যাত্রীদের সুবিধার্থে রামপুরহাটে এসবিএসটিসি বাসডিপো গড়ে তোলার জন্য পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে একটি প্রস্তাব জমা দেন কৃষিমন্ত্রী। এই ডিপো তৈরি হলে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবার উন্নতি হবে। পরিবহণমন্ত্রী তাতে সম্মতিও জানান। সেইমতো একাধিকবার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মকর্তারা রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ডের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করে যান। জায়গা মাপজোকও হয়। অবশেষে জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ডের প্রায় সাড়ে ১৮ বিঘা জায়গার উপর প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সরকারি বাসডিপো গড়ে তোলা হয়। এখানে বাস দাঁড়ানো ও মেরামতের জন্য একটি শেড, অফিস, বাসের অপেক্ষার জন্য স্ট্যান্ড ও যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বাউন্ডারি ওয়াল ও নিকাশি নালা তৈরির কাজও শেষ। পাশেই বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড। ফলে, যাত্রীদেরও অনেক সুবিধা হবে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল এই ডিপো। কিন্তু, তার আগেই করোনা পরিস্থিতির জেরে সোমবার থেকে এই ডিপো চালু করা হল।
জানা গিয়েছে, নিত্যদিন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রামপুরহাট স্টেশনে নামছেন। স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি বাসে করে তাঁদের মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, স্টেশন চত্বরে নির্দিষ্ট কোনও জায়গা না থাকায় যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছিল বাসগুলিকে। বাসকর্মীদেরও গাড়ির মধ্যে বা অন্য কোথাও বসে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। তারপর এদিন থেকে শুরু হয়েছে আনলক পর্ব। এই রুটে চলতে শুরু করেছে যাত্রীবাহী শিয়ালদহ-নিউ কোচবিহার পদাতিক এক্সপ্রেস। ফলে, প্রচুর বাস দাঁড়িয়ে থাকায় স্টেশন চত্বরে যানজট তৈরি হচ্ছিল। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে এদিন জরুরি ভিত্তিতে স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গড়ে ওঠা সরকারি বাসডিপো চালু করা হল।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে যাওয়া বাসগুলি ডিপোয় দাঁড়িয়ে থাকবে। এতে বাসকর্মীদেরও সুবিধা হবে। যেমন যেরকম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঢুকবে, সেই সংখ্যক বাস স্টেশনে যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাসগুলি চলাচল করবে। পরিবহণ দপ্তরের এমডি কিরণ গোদালার সঙ্গে কথা বলে উদ্বোধনের আগে এই ডিপো চালু করা হল।