বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
প্রশাসক বলেন, কোচবিহার জেলার মধ্যে এখন দিনহাটা মহকুমায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। যাতে শহরে বাইরে থেকে থেকে আসা মানুষের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ না হয় সেই কারণে অটো, টোটো, বাইকের চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ওসব যানবাহনে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখারও উপায় নেই। তাই সবদিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক বলেন, শহরে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ না রাখলে বিপদ বাড়তে পারে। পুরসভার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
শহরে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকলেও ওই নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরে যাতে কেউ দোকান খোলা না রাখেন তা ব্যবসায়ী সমিতিকে আগেই পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া লকডাউনে যাতে শহরের মাছ, মাংস, সব্জির বাজারগুলিতে বেশি মানুষ ভিড় করতে না পারেন সেইজন্য পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের বাড়ি বাড়ি রঙিন কার্ড একসময়ে বিলি করা হয়েছিল। এবার যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করল পুরসভা।
প্রসঙ্গত, জেলায় এদিন পর্যন্ত যে ৬৯ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ মিলেছে তারমধ্যে দিনহাটারই ৩৬ জন বাসিন্দা রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, দিনহাটায় যাঁদের শরীরে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস মিলেছে তাঁদের মধ্যে কেউই দিনহাটা শহরের বাসিন্দা নন, তাঁরা সকলেই মহকুমার গ্রামীণ এলকার বাসিন্দা। তাই দিনহাটা শহরকে করোনামুক্ত রাখতেই পুর প্রশাসন এখন তৎপর হয়েছে।