বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
তাঁরা দুপুর নাগাদ রামনগর-২বিডিও অফিসে যান। সেখানে পরিচয়পত্র এবং কিছুক্ষণের জন্য মিটিং পর্ব শেষে ওই টিম প্রথমেই যায় রামনগর-২ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সেন্ট্রাল টিমের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত পানবরজ, রাস্তাঘাট এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘুরে দেখেন। এরপর ওই টিম যায় রাগনগর-১ব্লকের পদিমা-১ ও ২, তালগাছারি-২ পঞ্চায়েত এলাকায়। জলধায় ক্ষতিগ্রস্ত গার্ডওয়ালও পরিদর্শন করেন তাঁরা। রামনগরে এখনও ত্রিপল খাটিয়ে বসবাস করছে কয়েকটি পরিবার। সেইসব পরিবারের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় পরিদর্শক টিমের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ৯নভেম্বর বুলবুল সাইক্লোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আটটি ব্লক এলাকা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক হিসেবে নন্দীগ্রাম-১, খেজুরি-১ ও ২, দেশপ্রাণ, কাঁথি-১, রামনগর-১ ও ২, মহিষাদল, এগরা-১ ও ২ব্লকের পাশাপাশি কাঁথি ও হলদিয়া পুরসভা নিয়ে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানো হয়। মোট ১৩হাজার কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রিপোর্ট যায়। এছাড়াও ১লক্ষ ৩৬হাজার ৭৭০হেক্টর আমন জমি, সব্জি ৩৩০০হেক্টর, পান ১২০০হেক্টর ও ফুল ৮০০হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন নবান্নে রিপোর্ট পাঠায়। রাজ্যের পক্ষ থেকে ২০৫কোটি টাকা আমন চাষিদের ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ করা হয়। এছাড়াও ৩৫হাজার ৭৬৮জন পানচাষির জন্য মাথাপিছু ৫০০০ টাকা করে ১৭কোটি ৮৮লক্ষ ৪০হাজার টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। এখনও অবধি প্রায় পাঁচ লক্ষ চাষিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। পান চাষিদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন সেসব খতিয়ে দেখার কাজ চলছে পুরোদমে।
কৃষিতে জেলায় ৫৮৫কোটি ৩৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবান্নে রিপোর্ট গিয়েছে। এর বাইরে মৎস্য দপ্তরের ৯৭কোটি ৬৪লক্ষ টাকা, জুনপুটে মৎস্য পরিকাঠামোয় ৫৭লক্ষ ১৭হাজার টাকা, প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগে ১কোটি ২৩লক্ষ টাকা, সেচ ও জলপথ বিভাগে মোট ২২কোটি ৬২লক্ষ টাকা, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ৫কোটি ৩০লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্যদপ্তরের ৬লক্ষ টাকা, স্কুলের বিল্ডিং, কিচেন শেড ভেঙে ৩৩লক্ষ টাকা, জেলা পরিষদের ৯৫টি রাস্তার ১৯১কিলোমিটার ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ২১কোটি ৬৯লক্ষ টাকা, বনদপ্তরের ২১লক্ষ ৭৭হাজার টাকা, পূর্তদপ্তরের ৮কোটি ৮০লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। সেসব খতিয়ে দেখার জন্যই এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের টিম ভিজিট করেছিল। বিকেল নাগাদ ওই টিমের সদস্যরা দীঘা ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আজ, বুধবার ওই টিম নবান্নে মুখ্যসচিব সহ রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।