কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
মহকুমা পুলিস আধিকারিক সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সই নকল করে শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা এই ধরনের প্রতারণা কতদিন ধরে করছে, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন যুবক বেশ কয়েকদিন ধরে পাঁশকুড়ায় একটি গেস্ট হাউসে থাকতে শুরু করে। এরপর তারা এলাকার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায়। স্কুলের শিক্ষকদের আস্থা অর্জনের জন্য তারা মুখ্যমন্ত্রীর সই ও বিশ্ববাংলার লোগো লাগানো শংসাপত্র দেখায়। মুখ্যমন্ত্রীর শংসাপত্র দেখে অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের অনুমতি দেন। প্রশিক্ষণ শেষে অনুদান হিসেবে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কয়েকটি স্কুল থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ। শনিবার দুপুরে অভিযুক্তরা পাঁশকুড়ার পূর্ব বাকুলদা জুনিয়র বেসিক স্কুলে গিয়ে একইভাবে প্রশিক্ষণের কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা শংসাপত্র দেখায়। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ শাসমল ওই শংসাপত্র ও মুখ্যমন্ত্রীর সই দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। অভিযুক্তদের স্কুলে বসিয়ে তিনি সহ শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর ওই শংসাপত্র সঠিক কিনা খতিয়ে দেখার জন্য পরিকল্পনা মাফিক পাঁশকুড়া থানায় খবর দেন। এরপর পুলিস এসে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে সই ও শংসাপত্র জাল বলে বুঝতে পারে। এরপর ধৃতদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, এলাকার বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের নাম করে টাকা নেওয়ার খবর পাচ্ছিলাম। তাই আমরা আগে থেকে সতর্ক ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর সই ও শংসাপত্র দেখে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় পুলিসকে জানাই। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আমিনুল আহসান বলেন, এভাবে প্রশিক্ষক পাঠানো হলে আগেভাগে স্কুলকে জানানো হয়। এখন কাউকেই স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে শিক্ষকদের সতর্ক থাকতে হবে।