কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এই মামলায় কলকাতার পুলিস কমিশনার কাণ্ডকেও উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আচরণে সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেই দাবি করা হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ফৌজিদারি প্রক্রিয়ার জন্য পুলিসফোর্স রয়েছে। তাই স্রেফ ১৯৬৩ সালের পয়লা এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রস্তাব মোতাবেক সিবিআই নামক একটি পৃথক সংস্থা তৈরি করে তাকে তদন্তকারী ‘পুলিসফোর্স’ হিসেবে কাজে লাগানো সংবিধানের পরিপন্থী বলেই আবেদনে সওয়াল করা হয়েছে।
মানিক মণ্ডলের আইনজীবী শান্তিরঞ্জন দাশ ডিএসপিই (দিল্লি স্পেশাল পুলিস এস্ট্যাবলিশমেন্ট) আইনের বলে তৈরি সিবিআইয়ের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে পশ্চিমবঙ্গে যাবতীয় তদন্ত, গ্রেপ্তার, চার্জশিট পেশ করার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের পক্ষে সওয়াল করছেন। সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে যদি রাখতেই হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীন থেকে বের করে সংসদে বিল এনে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত একটি সংস্থা তৈরি করা হোক বলে দাবি তাঁর।
উল্লেখ্য, সিঙ্গুরের মূল মামলার আইনজীবী ছিলেন শান্তিরঞ্জন দাশ। দায়ের করা এই মামলার আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি আই এ আনসারি এবং বিচারপতি ইন্দিরা শাহের রায়ে সিবিআইকে সাংবিধানিকভাবে অবৈধ বলা হয়েছে। সিবিআই কখনও পৃথক পুলিসফোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে না বলেই তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে কীসের ভিত্তিতে সিবিআই কলকাতার পুলিস কমিশনারের মতো আইনবলে নিযুক্ত একজনের বাড়িতে জোর করে ঢুকে হেনস্থা করতে পারে? প্রশ্ন তুলেছেন শান্তিবাবু। যদিও গুয়াহাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। সেই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। যার জেরে বেশ কয়েকটি মামলাও আটকে রয়েছে।