কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এদিন ওই ব্লকের ন’টি অঞ্চল সভাপতি, বিভিন্ন বুথের সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে মল্লারপুর-১ অঞ্চল সভাপতি প্রিয়ব্রত চট্টোপাধ্যায়কে অনুব্রতবাবু মঞ্চে ডেকে নেন। সেখানে ১৬টি বুথের দু’টি তৃণমূল হেরে গিয়েছে। এছাড়া পাঁচটিতে টাই হয়েছে। কেন এই হার? উত্তরে প্রিয়ব্রতবাবু বলেন, বাহিনা গ্রামে এক যুবক খুন হয়েছিলেন। তা নিয়ে বিজেপি সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছিল। মানুষ ওদের পক্ষে চলে গিয়েছিল। ওই বুথের সভাপতি সুজয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি এনিয়ে অনেক রাজনীতি করেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
বাজিতপুর অঞ্চলের ৪টি বুথে হেরেছে তৃণমূল। হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অঞ্চল সভাপতি সূর্যকুমার মণ্ডল বলেন, নেতৃত্ব দুর্নীতি করেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী না করায় আমি নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। ফলে কিছুটা ভোট কাটাকাটি হয়েছে। এই অঞ্চলের একটি বুথের সভাপতি মনু শেখ অনুব্রতবাবুকে বলেন, এর আগের পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সদস্য সরকারি বাড়ি দেওয়ার নামে বিভিন্ন বেনিয়ম করেছিলেন। তাঁদের সেই বেনিয়মের জন্য আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এমন অভিযোগ শুনে বেজায় চটে যান অনুব্রতবাবু। তিনি ওই দু’জনের নামে সোমবারই থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, কানাচি অঞ্চলের ১৭টি বুথের মধ্যে তিনটিতে পিছিয়ে শাসক দল। ওখানকার বুথ ও অঞ্চল নেতৃত্ব নিজেদের দোষে এই হার বলে উল্লেখ করে। কর্মীরাও কম খেটেছে বলে তাদের দাবি। কালুহা অঞ্চল সভাপতি বদরুদ্দোজা শেখ বলেন, এই এলাকা বিজেপির আঁতুর ঘর। তাদের দাপট তো রয়েছেই। এছাড়া কিছু সদস্যের মনে নেতৃত্বকে অবমাননা করার ভাবনা চলে এসেছে। যা শুনে ক্ষিপ্ত অনুব্রতবাবু বলেন, কেউ যদি ভাবেন অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের সম্মান দেবেন না, তবে তাঁদের মেম্বার থাকার দরকার নেই। প্রধান যদি ভেবে নেয় মানুষের কাজ করব না তাহলে তার কপালে খুব কষ্ট আছে।
এদিন ডাবুক অঞ্চলের তৃণমূল নেতা মিহির গোস্বামী ৩টি বুথে হেরে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বীরচন্দ্রপুরকে টিআরডিয়ের অর্ন্তভুক্ত না করায় মানুষজন কিছুটা ক্ষুব্ধ। অনুব্রতবাবু মঞ্চে উপস্থিত টিআরডিয়ের সদস্য ত্রিদিব ভট্টাচার্যকে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন আগেই বলেছেন বীরচন্দ্রপুরকে টিআরডিয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। এখনও কেন হয়নি। পরবর্তী মিটিংয়ে যেন এটা করা হয়। এছাড়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিত্যানন্দ বাড়িতে লাইটের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি খুব শীঘ্র তিনি সেখানে যাবেন বলে জানান।
বুথ ভিত্তিক পর্যালোচনা শেষে বক্তব্য রাখতে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, নটি অঞ্চল মিলিয়ে গত বিধানসভায় ২১৬৯২ ভোটে লিড ছিল। এবার কমপক্ষে ৩০ হাজার লিড দিতে হবে। বিজেপি কোনও ফাক্টর হবে না।