কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
ইমরান খানের সুরেই পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর দলের এই নেতাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্য মন্ত্রীদেরও সেকথা জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। দিল্লিতে এক সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের ইতিবাচক দিকে এগতে হবে। আমরা শান্তি চাই।’ পুলওয়ামা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দু’দেশের মধ্যে শুরু হওয়া রাজনৈতিক-সামরিক উত্তেজনার অবসানে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। দিল্লিতে ওই অনুষ্ঠানে রমেশ কুমার এও দাবি করেছেন, ‘যদি আপনাদের কোনও মতামত থাকে, তাহলে আমাকে জানান। আমি আমাদের সরকারকে বিষয়টি জানাব।’
প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত্কে ইতিবাচক অ্যাখ্যা দিয়েছেন পাক সংসদ সদস্য। এরপর ভারতীয় নেতা-মন্ত্রীদের আচার-ব্যবহারে পরিবর্তন আসবে বলেই আশাবাদী তিনি। শনিবারের জনসভা থেকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে প্রতিশ্রুতি রাখার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে রমেশ কুমারের আলোচনায় উঠে এসেছিল সেই প্রসঙ্গেও। পাক সংসদ সদস্য জানান, ‘আমি ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে বলেছি যে পাকিস্তানে এখন ক্যাপ্টেনের সরকার। তিনি একজন পাঠান এবং তিনি মুখে যা বলেন, কাজেও তাই করে দেখান। আমরা আপনাকে নিশ্চিতভাবে বলছি যে পুলওয়ামা হামলায় কোনও পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠান জড়িত নেই। যদি ভারত কোনও প্রমাণ আমাদের দেয়, আমরা উপযুক্ত তদন্তের ব্যবস্থা করব।’ দু’দেশেরই এই অভিযোগের রাজনীতি থেকে সরে আসা দরকার বলেও নরেন্দ্র মোদি ও সুষমা স্বরাজকে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজস্থানের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন রমেশ কুমার। পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানি শ্যুটারদেরও ভারতে আসার ভিসা দেওয়া হয়নি। সেখানে পাক সংসদ সদস্যের এভাবে দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী-বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।