কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকা চেকিং করার সময় কলকাতার এক অপহৃত ব্যবসায়ীকে পুলিস কিছু দিন আগে উদ্ধার করে। অপহরণকারীরা ওই ব্যবসায়ীকে কলকাতা থেকে অপহরণ করে বিহার নিয়ে যাচ্ছিল। সালানপুর থানা এলাকায় পুলিস চেকিং করার সময় গাড়িটি আটকায়। ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অপহরণকারীদেরও তারা গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার বিহারের দুই জালনোট কারবারিকেও ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া রূপনারায়ণপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া সম্প্রতি আরও চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী সীমানায় এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের তুলনায় অনেক বেশি চেকিং বাড়ানো হয়েছে। তার ফলে সহজে দুষ্কৃতীরা এ রাজ্যে ঢুকতে পারছে না। নজরদারি বাড়ানোর জন্য শিল্পাঞ্চলে বড় অপরাধও কমেছে। অথচ কয়েক মাস আগেও আসানসোল ও রানিগঞ্জে দু’টি ব্যাঙ্কে ডাকাতি, এক স্বর্ণ বন্ধকী সংস্থায় ডাকাতি, দুর্গাপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই সহ একাধিক অপরাধ হয়েছে। সব ঘটনাতেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতী দল জড়িত ছিল। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের দুষ্কৃতী দল দুর্গাপুরে ডেরা বেঁধে ওই শহরের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ছক কষেছিল। যদিও ‘অপারেশন’-এ নামার আগেই সিআইডি পুরো দলটিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন ছাড়াও মাইথন ও বরাকর হয়েও ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের দুষ্কৃতীরা এ রাজ্যে ঢোকে। দু’বছর আগে ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতী দলকে পুলিস গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে মাইথনের সিদাবাড়ি এলাকায় দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। সেই কারণে পুলিস মাইথন এবং বরাকরের দিকেও চেকিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, চেকিং বাড়ালেই যে সবসময় দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা যাবে, এমনটা নয়। প্রতিদিনই ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকে বহু লোকজন আসানসোলে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য আসেন। তাদের মধ্যে থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা কঠিন। সেই কারণে সীমানাবর্তী এলাকায় পুলিসের ‘সোর্স’ আগের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত করা হয়েছে। তাতে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা সহজ হচ্ছে। তবে চেকিং বাড়ানোর ফলে দুষ্কৃতীরা কিছুটা হলেও ভয়ে থাকে। অপরাধ করতে তারা বেশিরভাগ সময় বাইক এবং চারচাকা গাড়ি নিয়ে আসে। এই গাড়িগুলিতে বেশি করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।