কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
পুলিস ও আক্রান্ত ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্কুলের পরীক্ষা শেষে আইসিএসসি বোর্ডের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ঋত্বিক মণ্ডলকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শৌচালয়ের ভিতরে ঢুকিয়ে চলে কিল, চড়, লাথি, ঘুষি মারা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে স্কুলের শিক্ষকরা প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কলকাতায় চিকিৎসার পর শনিবার রাতে ওই ছাত্রকে রানাঘাটের সিদ্ধান্তপাড়ার বাড়িতে আনা হয়।
আক্রান্ত ছাত্র ঋত্বিক বলে, ঘটনার দিন আমি পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে ক্লাস থেকে বের হতেই জুনিয়র কয়েকজন ছাত্র আমাকে ডেকে স্কুলের বাথরুমের দিকে নিয়ে যায়। এরপর ব্যাপক মারধর করে। কারণ জানতে চাইলে ওরা আমাকে বলে, আমি নাকি নবম শ্রেণীর এক ছাত্রের প্রেমিকার দিকে নজর দিয়েছি। তাই ওরা এমন মেরেছে যে আমি ডান চোখে দেখতে পাচ্ছি না। রবিবারও ওই ছাত্রের চোখের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
আক্রান্ত ছাত্রের মা রীতা মণ্ডল বলেন, ঘটনার দিন ফোনে স্কুলে যেতে বলা হয়েছিল। আমি গিয়ে দেখি, ছেলেকে আগেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুধুমাত্র একজনের প্রেমিকার দিকে তাকানোর অপরাধে আমার ছেলেকে অমানবিকভাবে মারা হয়েছে। ছেলের ডান চোখের ক্ষতি হয়েছে। ওই চার ছাত্র ছেলেকে মেঝেতে ফেলে, গলায় পায়ের জুতো দিয়ে চেপে ধরে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আমি এর বিচার চাই। দোষীদের শাস্তি চাই। আক্রান্ত ছাত্রের আত্মীয় দিলীপ মণ্ডল বলেন, স্কুলের ভিতর এমন ঘটনায় অভিভাবক হিসেবে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। পড়াশোনার জন্য আমরা স্কুলে পাঠাই ছেলে-মেয়েদের। অথচ সেখানে এমন ঘটনা ঘটল। ওই ছাত্রীকে আদৌ চেনে না ঋত্বিক।
রানাঘাটের এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেকে ওই স্কুলে পড়াতাম। কিন্তু স্কুলের পরিবেশের কারণে বাধ্য হয়ে ওই স্কুল থেকে ছেলেকে অন্য স্কুলে ভর্তি করেছি। এমনকী ওই স্কুলের ছাত্ররা নানা কুকর্ম করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নেয় না। রানাঘাটের শিক্ষক অচিন্ত্য রায় বলেন, খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনার প্রতিক্রিয়া এমন নৃশংস হতে পারে ভাবতেই পারছি না। আধুনিকতার অন্ধকারে চলেছি আমরা। স্কুলের এক ছাত্র অন্য সহপাঠীর দিকে তাকাতে পারবে না? শিক্ষক ও অভিভাবকদের উচিত বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া।
এব্যাপারে স্কুলের প্রিন্সিপাল(সিবিএসসি বিভাগ) সুজাতা পান্ডে বলেন, এবিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে হবে। বিষয়টি ঘটে থাকলে অত্যন্ত দুঃখজনক। পুলিস জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।