কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থানার চৌঘরিয়া গ্রামের এক মহিলা ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে অভিযোগ করেন, পাশের আটঘরিয়া-সিমলন পঞ্চায়েতের কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা যুবক সঞ্জয় কর্মকার তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে। এমনকী একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সিঁদুরও পরায়। এরপর দিনের পর দিন সহবাসে লিপ্ত হয়। রেজিস্ট্রির কথা বললে ওই যুবক তাতে রাজি না হয়ে দূরত্ব বাড়াতে থাকে। পরে সম্পর্ক অস্বীকার করতে থাকে। এই ঘটনায় ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর কালনা থানা কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করে। চার বছর কালনা আদালতে মামলা চলার পর ছ’জন সাক্ষী ও অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে শুক্রবার বিচারক যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনান।
মামলার সরকারি আইনজীবী জয়দেব পাল বলেন, ওই যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে। মহিলার বিশ্বাস অর্জনের জন্য মন্দিরে গিয়ে মহিলাকে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। কিন্তু রেজিস্ট্রি করতে অস্বীকারের পাশাপাশি এক সময় দূরত্ব বজায় রেখে চলতে থাকে। সম্পর্ক অস্বীকার করতে থাকে। বিচারক সমস্ত সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণ যাচাই করে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা শোনান। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ’মাস জেলের নির্দেশ দেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত যুবকের বাবা মহাদেব কর্মকার বলেন, ছেলেকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। মহিলা বিবাহিত। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।