কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সপ্তাহে দু’দিন বসার কথা। এছাড়াও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সপ্তাহে চারদিন বসার নিয়ম। এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মহকুমার চারটি ব্লক, দু’টি পুরসভা শহর ছাড়াও মালদহের একাংশ বাসিন্দা এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য ভিড় করেন। অর্থোপেডিক, ইএনটি, সার্জারি, মেডিসিন বিভাগের ওপিডির একই অবস্থা থাকায় হাসপাতালের পরিষেবা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ রমেশ কিস্কু বলেন, এমন ঘটনা আমাদের জানা ছিল না। ডাক্তাররা কেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওপিডি করছেন না, এবিষয়ে খোঁজখবর নেব। সেইসঙ্গে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যেসব অভিযোগ সামনে আসছে, তা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, হাসপাতালে নিয়মিত ডাক্তার আসছেন না, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। ওপিডিতে গরিব মানুষই বেশি চিকিৎসা করাতে আসেন। রাজ্য সরকার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে ঢেলে সাজিয়েছে। তারপরও ডাক্তাররা যদি দেরি করে ওপিডিতে আসেন এবং তারজন্য যদি রোগীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তা মানা যায় না। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের হাল ফেরাতে আমি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব। আলোচনায় বসে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
বুনিয়াদপুরের রোগী আশু সরকার বলেন এদিন আমি মেডিসিন বিভাগে গিয়েছিলাম। সকাল ৯টা থেকে দাঁড়িয়ে থাকার পর ১২টাতেও ডাক্তার না আসায় আমি বাড়ি চলে এসেছি। আমার মতো অনেকেই হাসপাতাল থেকে ঘুরে বাড়ি চলে গিয়েছেন। এমনটা হওয়া কাম্য নয়।