সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: শনিবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোগরামগুড়ি এলাকায় রাস্তার দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। প্রায় দু’ঘণ্টা পথ অবরোধ থাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয় মাথাভাঙা-শিলিগুড়ি রাজ্য সড়কে। পরে মাথাভাঙা থানার পুলিস অবরোধস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বাসিন্দারা জানান, দ্রুত রাস্তার কাজ না হলে এরপর বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। স্থানীয়রা জানান, বালুর বেড থেকে যারা বালু তোলার কাজ করছে তাদেরও রাস্তাটির ব্যাপারে বলা হয়েছিল। উল্টে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান বাসিন্দারা। একাংশ বাসিন্দার দাবি, বেআইনি ভাবে বালু তোলার কাজ চললেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। যদিও বালুর বেডের দায়িত্বে থাকারা জানায়, তারা বৈধভাবে বালু তোলার কাজ করছে। এব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন বর্মন, কামিনি বর্মনরা বলেন, রাজ্য সড়ক থেকে সুটুঙ্গা নদীর পাড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সুটুঙ্গার বালির বেড থেকে বালি তুলে এই রাস্তা দিয়েই বড় ট্রাক, ডাম্পার বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে বর্ষায় যেমন গোটা রাস্তা জল মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় তেমনি শুকনো মরশুমে ধুলোবালিতে নাজেহাল হতে হয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রায় হাজার খানেক পরিবারের যাতায়াতের মূল রাস্তা এটি। বাজার করা সহ নিত্য প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে এই রাস্তা দিয়ে বাইরে যেতে হয়। দুর্গাপুজোর পর বালি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভারী গাড়ি চলাচল করায় গোটা রাস্তা জলকাদায় ভর্তি হয়ে রয়েছে। বর্তমানে জলকাদা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এনিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সহ জন প্রতিনিধিদের জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একই সঙ্গে বালুর গাড়ি চলাচল নিয়ে কিছু বললেও হুমকির মুখে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। এদিন বাধ্য হয়ে তারা পথ অবরোধে শামিল হয়েছেন। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মালতী বর্মন বলেন, ভোগরামগুড়ির বেহাল রাস্তাটি সংস্কার করার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্ষা মরশুম শেষ হল। এখন রাস্তাটি সংস্কার করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বালুর বেড কারা চালাচ্ছে সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হবে।
এদিন সকাল ১০টার দিকে মাথাভাঙা-শিলিগুড়ি রাজ্য সড়কের ভোগরামগুড়ি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। অবরোধের জেরে দু’দিকে প্রচুর গাড়ি আটকে পড়ে। নিত্যযাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মাথাভাঙা থানার পুলিস গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করার পরও অবরোধ তুলতে চাননি বাসিন্দারা। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিস প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।