কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন সপ্তাহ আগে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই কর্মী শহরের আদর্শ স্কুলপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া এসেছেন। ওই তরুণী বাড়িতে একাই থাকতেন। শনিবার রাত ৩টে নাগাদ তাঁর বাড়ির পিছনের গ্রিলের তালা ভেঙে এক দুষ্কৃতী ভিতরে ঢোকে। এরপর শোওয়ার ঘরের দরজা ভাঙার শব্দে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দুষ্কৃতীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেসময় ছুরি দিয়ে তরুণীর হাতে আঘাত করে। এরপর ভয় দেখিয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতেই হাতে থাকা সোনার আংটি ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তরুণীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। তাঁকে উদ্ধার করে বালুরঘাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে শহরে দিন দিন চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ওই তরুণী বলেন, দরজা ভাঙার শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। এরপর দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থাতেই ছুরি নিয়ে আমার হাতে আঘাত করে। আমার হাতে থাকা আংটি, নগদ ৫৫০০ টাকা সহ ঘরের অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আমি খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। একা থাকতে ভীষণ ভয় হচ্ছে। স্থানীয় এক চিকিৎসক সৌরভ কুণ্ডু বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এলাকায় অনেকগুলি চুরির ঘটনা ঘটল। পুলিস বেশিরভাগ চুরির কোনও কিনারা করতে পারেনি। এখানে আগে পুলিস টহলদারি চালাত। এখন নজরদারির অভাবে ফের শহরে চুরি বেড়েছে। বালুরঘাটের ডিএসপি (সদর) ধীমান মিত্র বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিস গিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তদন্ত করে শীঘ্রই দুষ্কৃতীকে ধরা হবে।
বালুরঘাট শহরে বর্তমানে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে শহরের ডাকবাংলো পাড়াতে একটি বড় চুরি হয়েছে। এরপর আদর্শ স্কুলের পিছনেই আরও একটি বাড়িতে চুরি হয়। উত্তর চকভবানী, সত্যজিৎ মঞ্চ, বাসন্তী বাগান সহ বেশকিছু এলাকাতেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।