কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
বুধবার সন্ধ্যা নামার পর থেকে গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। দমকা হওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিও শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। রাতে মালদহে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রায় ৮০ কিলোমিটার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে এবার ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এখনও সিংহভাগ ফসল খেতেই পড়ে রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি ও আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মালদহ কৃষি দপ্তরের তরফে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ধানের পাশাপাশি মালদহের আম এবং লিচুও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম এবং ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ৫০০ হেক্টর জমির পটল, বরবটি, করলা, কুমড়ো, ঢ্যাঁড়শ এবং উচ্ছের ক্ষতি হয়েছে। ১৯০টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির হিসেব কষার কাজ চলছে। তা শেষ হলেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।
এদিকে, উত্তর দিনাজপুরে ওইদিন সকাল থেকেই লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির জেরে শহরের রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা ছিল। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। যদিও করোনার জন্য বাসিন্দারা ঘরবন্দি থাকায় তেমন অসুবিধায় পড়তে হয়নি। শহরের আশা টকিজ মোড় এলাকায় ঝড়ের দাপটে গাছ উপড়ে যায়। জেলায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। মোট জমির দুই থেকে চার শতাংশ জমির ফসল ক্ষতির মুখে পড়বে বলে চাষিদের আশঙ্কা। যদিও এই বৃষ্টিতে পাট চাষে তেমন ক্ষতি হবে না বলে কৃষি আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ভুট্টার ক্ষেত্রে ফসল জমি থেকে তোলার সময় এসে গিয়েছে। ফলে ওই চাষেও তেমন প্রভাব পড়বে না।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একটানা বৃষ্টিপাতে বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর শহর সহ একাধিক এলাকায় জল জমে যায়। ঝড়ে বালুরঘাটের হাই স্কুল মাঠের বাজার পুরো লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বোরো ধান, পাট চাষ সহ অন্যান্য সব্জি চাষে ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বহু জায়গায় ধানের গাছ ঝোড়ো হাওয়ায় শুয়ে পড়েছে। জেলার একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়। বালুরঘাট শহর, গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় শহর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়।