কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ধীমানবাবু সহ বনকর্মীদের সাতজনের একটি দল রুটিন টলহদারিতে বেরয়। ওই সময় একটি দাঁতাল হাতি আচমকা ধীমানবাবুর সামনে চলে আসে। হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে। সহকর্মীকে বাঁচানোর সময় হাতিটি তেড়ে এলে ধীমানবাবুর দুই সঙ্গীও জখম হন।
এরপর হাতিটিকে কোনওরকমে তাড়িয়ে বাকিরা জখম তিনজনকে নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের দিকে রওনা হন। কিন্তু পথেই মারা যান ধীমানবাবু। জখম দু’জনের চিকিৎসা চলছে। এদিকে, মঙ্গলবার ভোরে মাদারিহাটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দলছুট একটি হাতি ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বক্সার পূর্ব ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পি হরিশ বলেন, আমাদের এক কর্মীর হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। জখমদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বন দপ্তরই দেবে। মৃত অস্থায়ী কর্মীর পরিবারকে সরকারি নিয়মে যা যা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ও সাহায্য করার তা করা হবে।
এদিকে বনকর্মীদের দাবি, লকডাউনের জন্য বক্সার জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া দমনপুর ও জয়ন্তী রাজ্য সড়কে কিছুদিন ধরেই হাতি, ময়ূর, বাঁদর, চিতাবাঘ চলে আসছে। ওই রাস্তায় গেলে এখন শোনা যাচ্ছে মন ভরে দেওয়া নাম না জানা বক্সার জঙ্গলের অসংখ্য পাখির কলতান। রাজাভাতখাওয়া রেল লাইনেও উঠে আসছে হাতির দল।
এদিকে নির্জন রাস্তায় বিরল ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করতে আলিপুরদুয়ার শহর থেকে অনেকেই ছুটছেন সেখানে। কিন্তু লকডাউনের জন্য বন্যজন্তুদের জঙ্গল থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসার প্রবণতায় উদ্বিগ্ন বন দপ্তর। সেইজন্য সতর্ক থাকতে এদিন থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস অ্যালার্ট পাঠানো শুরু করেছে বন দপ্তর।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা কল্যাণ রাই বলেন, লকডাউনে রাস্তাঘাট সর্বক্ষণই ফাঁকা থাকছে। বন্যজন্তু রাস্তায় আসায় অনেকেই সেই ছবি তুলতে আসছেন। বনকর্মীরা টহল দিলেও এতে বিপদ বাড়তে পারে। এলাকার লোকজনকে এসএমএস পাঠিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।