বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বলেন, হট অ্যাক্সেলের কারণে বালুরঘাট লিঙ্ক স্লিপার কোচের নীচে আগুন বেরোয়। ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট ও মালদহের মাঝে নগরনবী স্টেশনে। পরে রেল কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত কামরাটিকে বাদ দেন। সকাল ৭টা ৫৭মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। ওই কোচের যাত্রীদের অন্য কোচে অ্যাডজাস্ট করে পাঠানো হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৩টে ৫০মিনিট নাগাদ হঠাৎ করে এস-২ কামরায় ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তখন ট্রেনটি ছিল পাকুড় স্টেশনের আগে নগরনবী স্টেশনের কাছে। এমন দুর্ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। ট্রেন থামতেই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন সকলে। যাত্রীদের চিৎকার চেঁচামেচিতে জিআরপির এক আধিকারিকের মাধ্যমে খবর যায় ট্রেনের গার্ডের কাছে। ছুটে আসেন রেলকর্মীরা। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের সাহায্যে ওই আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক ওই এলাকায় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। পরে ওই ক্ষতিগ্রস্ত কামরা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ওই কামরায় যেসব যাত্রী ছিলেন তাঁদের অন্য বগিতে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আবার ট্রেন চালানো হয়। এই ঘটনার জেরে প্রায় চার ঘণ্টা দেরি করে ট্রেনটি বালুরঘাটে ঢোকে।
বালুরঘাটের স্টেশন মাস্টার পঙ্কজ বর্মা বলেন, পাকুড়ের কাছে ট্রেনের একটি কামরায় আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই কারণে ট্রেন দেরি করে বালুরঘাটে এসে পৌঁছয়। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ট্রেনের এক যাত্রী, বালুরঘাটের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক বিভাস দাস বলেন, শেষ রাতে হঠাৎ করে পোড়া পোড়া গন্ধ নাকে আসে। তার পরেই জানতে পারি, সামনে থাকা ট্রেনের এস-২ কামরায় আগুন লেগেছে। ওই আগুনে যাত্রীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে রেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত কামরা বাদ দিয়ে ট্রেন চালানো হয়।
জানা গিয়েছে, শেষ রাতে যখন সব যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, তখনই আগুন লাগে। হঠাৎ এস-২ কামরা থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ বের হতেই সকলে চিৎকার করতে থাকেন। এদিকে যাত্রীদের চিৎকার শুনে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। তখনই নজরে আসে আগুন লেগে যাওয়ার বিষয়টি। তৎক্ষণাৎ রেল কর্মী ও রেল পুলিস পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর কাজ চলে। শীতের ভোরে ট্রেনের যাত্রীদের হাঁড়কাপানো ঠান্ডার মধ্যে বাইরে চলে এসে অপেক্ষা করতে হয়। এই নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমে। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। ঘণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানোর কাজ শেষ হয়। তার পরে ওই বগি সরানোর কাজ চলে। সেই বগি সরিয়ে দিয়ে অন্য একটি বগি নিয়ে আসা হয়। যাত্রীদের সমস্ত সামগ্রী বের করে আনা হয়। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যাত্রীদের পাকুড় স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। এদিন যাত্রীরা সজাগ থাকার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে সকলে রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি।