উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
রাসমেলা উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কোচবিহারে আসার কথা ছিল গত ১৩ নভেম্বর। কিন্তু হঠাৎ করেই ‘বুলবুল’ এর তাণ্ডবে সেই সফর বাতিল হয়েছিল। সেই সময় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ১৩ ও ১৪ নভেম্বর কোচবিহারে থাকবেন। কিন্তু এবারে তাঁর সফর কিছুটা সংক্ষিপ্ত হবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আগামী ১৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসবেন। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তিনি একটি কর্মীসভা করবেন। তারপর মদনমোহন বাড়ি ও রাসমেলায় যাবেন। মদনমোহন মন্দিরে তিনি পুজোও দিতে পারেন। পর দিন সকালে তিনি এখান থেকে হেলিকপ্টারে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে যাবেন। কর্মীসভায় সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী থাকবেন। ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বাইরে থেকেও যাতে সভা দেখা যায় তার জন্য ওপরে শামিয়ানা টাঙানো হবে। এলইডি স্ক্রিন ও চেয়ার থাকবে। সেখানে বসেও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সকলে শুনতে পারবেন। দু’টি হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। বিকল্প হিসাবে একটি হেলিপ্যাড থাকছে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটার সময়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আসবেন। এরপর তিনি রাসমেলা মাঠ ও মদনমোহন মন্দিরে যাবেন। তিনি কোথায় নামবেন তা প্রশাসন ঠিক করবেন। কর্মীসভায় দলের জেলার সমস্ত নির্বাচিত সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ও নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে প্রসাশনিক বৈঠকে যোগ দিতে এলে কোচবিহারে রাসমেলায় আসার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরপর জানানো হয়েছিল যে মুখ্যমন্ত্রী ১৩ নভেম্বর কোচবিহারে আসবেন। ১৪ নভেম্বর কোচবিহারে কর্মীসভা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসছেন দেখে রাসমেলার অনুষ্ঠানের সূচনাও ১১ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ১৩ নভেম্বর করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি সামনে আসতেই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এরপর পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে পূর্ব নির্ধারিত ১১ নভেম্বরই রাসমেলার উদ্বোধন করা হবে। মখ্যমন্ত্রী ১৩ নভেম্বর আসবেন। কিন্তু এর মধ্যেই বুলবুলের কারণে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী কয়েকটি জেলা ক্ষতির মুখে পড়ে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ওই সফর বাতিল হয়ে যায়। এবার আগামী ১৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসছেন। তার জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।