কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য বলেন, সংশ্লিষ্ট বাজারে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখে যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দমকলের অফিসাররা বলেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই এই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি মহকুমার ঘিঞ্জি বাজারগুলির মধ্যে মাটিগাড়া বাজার অন্যতম। বাজারের রাস্তা অত্যন্ত সংকীর্ণ। যাতায়াতের কিছু জায়গা জবর দখল হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাজার বন্ধ হয়ে যায়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাজারে আগুন লাগে। হার্ডওয়্যার, টেইলার, খেলনা, ছোলা ভাজা এবং তিনটি মুদি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দোকানগুলি পাকা দেওয়াল ও টিনের চাল দিয়ে তৈরি ছিল। এরপাশেই আরও তিনটি দোকান সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরবাইরে একটি মোটর বাইকও পুড়ে ছাই হয়েছে। খবর পেয়েই শিলিগুড়ি ও মাটিগাড়া থেকে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। তবে এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকল বাহিনীকে অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলা করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ। যার ফলে অপারেশনে নামতে কিছুটা সময় লাগে। এছাড়া স্থানীয় এলাকায় জলেরও কোনও উৎস্থল নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সংশ্লিষ্ট সাতটি দোকানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ জন কর্মরত ছিলেন। দোকানগুলি পুড়ে যাওয়ায় তাঁরা পুরোপুরিভাবে কর্মহীন হয়ে পড়লেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা পুজোর বাজার ধরতে দোকানে প্রচুর টাকার জিনিস মজুত করেছিলেন। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তাঁদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাজেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে পুজোর আনন্দ বলে আর কিছুই নেই।
মাটিগাড়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই রাতে ঘটনাস্থলে আসি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের দাবি প্রশাসনের কাছে জানানো হয়ছে।
বাজারে যান শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার। তিনি বলেন, পুজোর মধ্যে এই ঘটনা দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াব। স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ওই ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি প্রশাসনের কাছে আমি জানাব।