কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
মাথাভাঙা ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোপাল সাহা বলেন, পাইকারি বাজারে চাহিদা মতো সব্জি আসছে না। পাইকাররা বেশি দামে কিনছেন। তাঁরা খুচরো বিক্রেতাদের কাছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন। বৃষ্টির ফলে সব্জি বাজারে কম আসার কারণেই একলাফে সমস্ত সব্জির দাম এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোচবিহার জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের জেলা আধিকারিক দীপক সরকার বলেন, চাষিরা আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জেলায় আগাম সব্জি চাষ শুরু করেন। এবারে ওই সময়ে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় চাষের সময় কিছুটা পিছিয়ে যায়। তাছাড়া বৃষ্টির জন্য সব্জির ফলনও কমেছে। সেই কারণে বাজারে সব্জি কম আসছে। পুজোর আগে একসপ্তাহ যে বৃষ্টি হল তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চাহিদার সঙ্গে জোগানের মিল না হওয়ায় সব্জির দাম একলাফে দ্বিগুণ হয়েছে।
কোচবিহার জেলার একাধিক বাজারে বেগুন, পটল সহ কাঁচা সব্জির দাম একলাফে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলাজুড়ে আগস্ট মাসের মাঝমাঝি সময় থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় শীতকালীন সব্জির আগাম চাষেও অনেকটা দেরি হয়। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে ফুলকপি, নতুন গাছের বেগুন উঠছে। সেই ফুলকপি, বেগুন ৬০-৮০ টাকা কিলো মিলছে। দাম বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তায় খুচরো সব্জি ব্যবসায়ীরাও। তাঁরা জানান, পাইকারি বাজারে সব্জি পাওয়াই যাচ্ছে না। যেটুকু সব্জি বাজারে আসছে তা নিয়ে টানাটানি চলছে। টানা বৃষ্টির পর এখন রোদ উঠলেও সব্জির দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাস খানেক আগে থেকে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা কিলো ছিল। এখন সেই পেঁয়াজ খুচরো বাজারে ৬০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। পটল ৩০-৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, স্কোয়াস ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে আকাশছোঁয়া দাম হয়েছে বেগুনের। ৩০ টাকা কিলোর বেগুন একলাফে ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে নতুন গাছের বেগুন আকাশ হয়েছে।