কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
কলেজপাড়ার শিল্প নির্দেশক বিশু ধর বলেন, প্রকৃতির বিভিন্ন রূপকে আমরা ফুটিয়ে তুলেছি। এখানে এলে দেখা যাবে একদিকে জঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে, পশুপাখি পুড়ে মারা যাচ্ছে। অপরদিকে সবুজ অরণ্যের মধ্যে মানুষ হাতির পিঠে চড়ে ঘুরছে, বরফের দৃশ্য।
গোসানী রোডের পুজো কমিটির সম্পাদক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই বৃদ্ধ পিতা-মাতা অবহেলার মধ্যে দিন কাটান। অথচ শিশুর জন্ম থেকে বড় হওয়া সবেতেই মায়ের হাত থাকে। আমরা বিভিন্নভাবে মায়ের ঋণের বিষয়টিকে মণ্ডপ ও প্রতিমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছি।
কলেজপাড়ার পুজো মণ্ডপে ঢুকতে প্রথমেই দেখা যাবে ‘যত মত তত পথ’। থাকবে শান্তির দূতের প্রতীক পায়রা। এখান থেকে দর্শনার্থীরা এগলেই দেখতে পাবেন বাঁ দিকে আমাজনের জঙ্গলে পশু, পাখির পুড়ছে। বাঁচার জন্য তারা ছুটছে। ৪০ জন মানব পুতুলের দল আনা হয়েছে। এর বিপরীতে দেখা যাবে শিশুরা গাছ লাগাচ্ছে। সেখানে পশুরা নির্বিঘ্নে ঘুরছে। এরই মাঝেই আছে বরফের দেশ। সেখানেই একটি গুহার মধ্যে রয়েছে দুর্গা প্রতিমা।
গোসানী রোডের পুজোর মণ্ডপটি চারমাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পীরা গড়ে তুলেছেন। এখানে দেখানো হয়েছে ফ্ল্যাট বাড়ি। সেখানে মায়ের জায়গা হয়নি। বৃদ্ধ মা মাটি কাটার মেশিনের সামনে বসে আছেন। এরপরেই শিশুর জন্ম, মায়ের পরিচর্যা, সন্তানকে বড় করে প্রতিষ্ঠিত করার টুকরো ছবি। পরের ধাপে দেখা যাচ্ছে মা হাসপাতালে ভরতি অথচ তাঁকে দেখতে আসার সময় নেই সন্তানের। এই দৃশ্যগুলি ফুটিয়ে তুলতে শিল্পী ১০০০ শার্ট ব্যবহার করেছে। এসব শার্টের মাধ্যমে উকিল, ডাক্তার, খেলোয়ার সহ বিভিন্ন পেশাকে তুলে ধরা হয়েছে। মণ্ডপের ভিতরের দিকে আরও একটু এগিয়ে গেলে দেখা যাবে প্রচুর দরজা। এরমধ্যে কোনওটি খোলা, কোনওটি বন্ধ। এখানে দেখানো হয়েছে সন্তানের জন্য মায়ের দরজা খোলা। আর অনেক ক্ষেত্রেই মায়ের জন্য সন্তানের দরজা বন্ধ।