কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাব এবারে তাদের থিম করেছে বাংলার ঐতিহ্য। বাংলার উৎপাদিত পাটের সুতো দিয়ে তৈরি হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। সম্পূর্ণ পাটের সুতো দিয়ে দেবীকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে কাঁথির মৃৎশিল্পী দু’মাস ধরে ফুটবল ক্লাবে বাংলার সাদা পাট দিয়ে একচলার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন। অপরদিকে গঙ্গারামপুর ইয়ূথ ক্লাব তাদের এবারের থিম যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিব্বতের মন্দিরে গৌতম বুদ্ধ যেভাবে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় শান্তির মার্গ দর্শন করাতেন তেমন ভাবে এখানে দেবী দুর্গা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দেবীর রুদ্র মূর্তি এখানে দেখা যাবে না। ইয়ূথ ক্লাবের মা দুর্গা শান্তির পথ দেখাচ্ছেন। তাই দেবীর ১০ হাতে কোনও অস্ত্র নেই। গঙ্গারামপুরের জ্বলন্ত অগ্নিশিখা ক্লাবের এবারের থিম মিশরের পিরামিড। এখানে ঢুকলে দেখা মিলবে প্রাচীন যুগের মমি, থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিশরের দেশে দেবী দুর্গার রূপ। এছাড়াও ঐতিহ্য মেনে আধুনিক মানের সাবেকি প্রতিমার দেখা মিলবে চিত্তরঞ্জন ক্লাব, নাট্য সংসদ, চৈতালি ক্লাব এছাড়াও শহরের বনেদি বাড়ির পুজোর প্রতিমা পুরনো ঐতিহ্য মেনেই সাবেকি ছন্দে থাকছে।
গঙ্গারামপুর ইয়ূথ ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তা অজয় দাস বলেন, আমরা প্রতিবছর প্যান্ডেল, প্রতিমাতে চমক দিয়ে থাকি। এবারেও আমরা একটি বিশেষ থিমের উপর প্রতিমা তৈরি করেছি। গতানুগতিক একই ধরনের প্রতিমা থেকে বেরিয়ে এসে আমরা দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে নতুন ধরনের প্রতিমা তৈরি করেছি। তবে আমাদের পুজো সাবেকিয়ানাতেই হয়ে থাকে। গঙ্গারামপুর চিত্তরঞ্জন ক্লাবের সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, আমরা জেলার মধ্যে প্রতি বছর দৃষ্টান্ত তৈরি করে থাকি প্যান্ডেল ও লাইটে। আমাদের দেবী সাবেকিয়ানার সাজেই বরাবর থাকে। তবে এবার সাজে কিছুটা আধুনিকতা আনা হয়েছে। মায়ের রূপ যেমন আমরা তেমনই রাখার চেষ্টা করি।