কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের পুজোর বাজার থেকে শুরু করে পুজোর প্রস্তুতিও ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল। গত তিন-চারদিন ধরে আকাশ পরিষ্কার থাকায় খানিকটা হাঁফ ছেড়েছিলেন এই তিন জেলার বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও পুজো উদ্যোক্তারা। কিন্তু এদিনও দুপুরে বালুরঘাটে বৃষ্টির ফলে পুজো দেখা ও শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা খানিক থমকে যায়। যদিও বিকালের পর থেকে জেলাবাসীকে আর ঘরে বন্দি করে রাখা যায়নি। মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল নামে দর্শনার্থীদের। ওদিকে মালদহ জেলায় বৃষ্টি না হলেও মহানন্দা নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। ইংলিশবাজার শহরের একটি মণ্ডপে জল ঢুকে যায়। জল থইথই মণ্ডপেই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। তবে ইংলিশবাজারে বৃষ্টি না হওয়ায় সেখানে এদিন দুপুর থেকেই মণ্ডপগুলিতে ভিড় জমতে শুরু করে। রায়গঞ্জ শহর সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার মণ্ডপগুলিতেও এদিন যথেষ্ট ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।
মালদহের ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহর দু’টিতে এদিন বেলা গড়াতে না গড়াতেই ঠাকুর দেখার ভিড় শুরু হয়ে যায়। বিকাল যত সন্ধ্যার দিকে গড়িয়েছে তত সেই ভিড়ের চাপ বেড়েছে। শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মণ্ডপে স্বভাবতই ভিড় ছিল বেশি। কখনও প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে, কখনও মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে একের পর এক সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছে দর্শনার্থীদের। ছবি তোলার আগ্রহটা অবশ্য বেশি ছিল কমবয়সীদের মধ্যেই। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিজয় সঙ্ঘ, সুদর্শনপুর সর্বজনীন, সবুজ সঙ্ঘ, অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের মতো নামী পুজোগুলিতে যথারীতি এদিন ভিড় উপচে পড়ে। সেইসঙ্গে এদিন ভিড় ছিল খাওয়ার দোকানগুলিতেও। রাস্তার ধারে মোমো-রোল-চাউমিনের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় রেস্তোরাঁগুলিতেও ভিড় করেন ভোজনপ্রিয় বাঙালিরা। এদিন শেষবেলার কেনাকাটায় রায়গঞ্জের বাজারেও ভিড় উপচে পড়ে। ষষ্ঠীতে হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও।
এদিকে এদিন দুপুরে বালুরঘাটে বৃষ্টির ফলে পুজোর আমেজের তাল খানিকটা কাটলেও শেষমেষ অবশ্য জয়ী হয়েছে বাঙালির উৎসাহ ও ঠাকুর দেখার প্রবল ইচ্ছাই। এদিন সন্ধ্যার পর থেকে শহরের কচিকলা অ্যাকাডেমি, ত্রিধারা ইত্যাদি ক্লাবের প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শন করতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। বালুরঘাট শহরের পাশাপাশি হিলির বড় বাজেটের পুজোগুলি দেখতেও এদিন দর্শনার্থীরা ভিড় করেন।