কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, পুজোর সময় দর্শনার্থীদের যাতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে নজর রাখছি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ষষ্ঠীর দিন দুপুর থেকেই ট্রাক, লরি, পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দশমীর দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। শহরের ভিতরেও বড় বড় পুজো মণ্ডপের কাছাকাছি প্রয়োজন মতো নো এন্ট্রি করা হয়েছে। সুষ্ঠু পুজো উপহার দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। যে কোনও সমস্যায় পড়লে দর্শনার্থীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের টিম তৈরি থাকবে। দ্রুত যেকোনও সমস্যা মেটান হবে।
এদিকে পঞ্চমীর রাত থেকেই রায়গঞ্জ শহরের বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলির সামনে ভিড় জমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় তাই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ষষ্ঠী থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় ও যানজট বাড়বে। স্বভাবতই এরমধ্যে আবার লরি, বাস চলাচল করলে দর্শনার্থীদের চূড়ান্ত অসুবিধায় পড়তে হবে। এমনকী দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই চিন্তাকে মাথায় রেখেই এবং পুজোর সময় যে কোনো রকমের পথ দুর্ঘটনা এড়াতে রায়গঞ্জ জেলা পুলিস শহর সংলগ্ন জাতীয় সড়কের কয়েকটি জায়গা ও শহরের ভিতরের কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শহরের চণ্ডীতলা, আশা টকিজ, শিলিগুড়ি মোড়, পাবলিক বাসস্ট্যান্ড, বিদ্রোহী মোড় এলাকায় পুলিস সহায়তা বুথ খোলা হয়েছে। দুপুর ২টো থেকে শহর সংলগ্ন কসবা মোড়, শিলিগুড়ি মোড়, কুলিক সেতু,এফসি আই মোড় এলাকায় লরি, ট্রাক, বসের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শহরের ভিতরে বড় গাড়ির প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শহরে মোট ২৮টি বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপ চত্বরে মোটরবাইক, টোটো ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেকোনও অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে সাদা পোশাকের পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। মহিলাদের ইভটিজিংয়ের হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ মহিলা পুলিস দল তৈরি করা হয়েছে। তারা শহর জুড়ে সদা সতর্ক রয়েছে। জেলা পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনা করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে বাইরে থেকে প্রচুর দর্শনার্থী পুজো দেখতে শহরে আসবেন। তাঁদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।