কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
অন্যদিকে, বৈশ্য সম্প্রদায়ের সিংহবাহিনীর পুজোয় শুধু মা দুৰ্গা , সিংহ ও অসুর থাকে। এটাই তাঁদের রীতি বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই পুজোও নিজস্ব মন্দিরেই শুরু হল ষষ্ঠীর দিন থেকে। এখানেও নিয়মনিষ্ঠাই বড়। আগে নিজেজের সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েক বছর চাঁদা তুলে পুজো হলেও এখন কোনও রকম চাঁদা তুলে পুজো আর হয় না। সম্প্রদায়ের মায়ের একটি পুকুর রয়েছে। বছরভর তার আয় ও জমানো টাকা থেকেই পুজো হচ্ছে।
সাহাপুরের আদি তিলি সম্প্রদায়ের পুজোর প্রধান উপদেষ্টা জহরলাল নন্দী বলেন, ইংরেজির ১৭৭৪ সালে এই পুজো আমাদের পূর্বপুরুষেরা শুরু করেছিলেন। এবছর পুজো ২৪৬ বছরে পড়ল। পুজোর ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরে আমরা খুব খুশি ও আনন্দিত। শুধু আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষরাই নয় পুজোর দিন এখানে এসে সকলেই আনন্দ করেন। পঞ্চমী থেকে পুজো শুরু হয়েছে। নবমীর দিন ব্রাহ্মণ সেবা হবে। আমরা পুজোর জন্য চাঁদা তুলি না। আমাদের সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষেরা অনেক জমি, আমবাগান মায়ের নামে দান করে গিয়েছেন। সেখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই আমাদের পুজো হয়।
সাহাপুর সিংহবাহিনী দুৰ্গাপুজো কমিটির সম্পাদক তাপস কুমার গুপ্ত বলেন, আমাদের এটা বৈশ্য সম্প্রদায়ের পুজো। দুশো বছরের বেশি সময় ধরে এই পুজো হচ্ছে। মায়ের রূপ সিংহবাহিনী। এখানে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীরা থাকেন না। খুব নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়। মায়ের নামে পুকুর রয়েছে। তার আয় থেকে ও জমানো টাকা দিয়েই পুজো হয়।
এদিকে সাহাপুরেরই আরেক পুজো যাদব সমিতির পুজো এবারও দশর্কদের আকর্যণ করছে। তাঁদের এবারের থিম অশুভ শক্তিকে নাশ করে শুভ শক্তির সূচনা। থিমশিল্পী অজিত সর্দার বলেন, মণ্ডপ চত্বরজুড়ে শুভ ও অশুভ দুই দিক আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে। অশুভ শক্তির স্থানে বড় ডেঞ্জার জোন করা হয়েছে। সেখানে মরুভূমি কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে, তাতে ক্যাকটাস জাতীয় গাছ রয়েছে। ভয়ের প্রতীকী হিসাবে বড়ো সাপ, কাক, কাঁকড়া বিছা রয়েছে। সূর্যগ্রহণের কুপ্রভাবও দেখানো হয়েছে। এর ঠিক পরেই ধ্যানমগ্ন একটি মূর্তির ছবি। সেখানে শূন্য থেকে নানা আলোক রশ্মি পড়ছে। সেখান থেকেই শুভ শক্তির সূচনা দেখানো হয়েছে। সেখানে বড়ো ছয় ফিটের মতো চাঁদ রয়েছে। গাছে ফুল ফুটেছে। প্রজাপতি উড়ছে। পুকুরে পদ্মফুল। এক অনাবিল স্বর্গীয় সৌন্দর্য বিরাজ করছে। পুজো কমিটির সম্পাদক সুজিত ঘোষ বলেন, আমাদের পুজো ৫২ বছরে পড়ল। গত বছর ছয় লক্ষ টাকা বাজেট ছিল। এবার সেটা ১০ লক্ষ টাকা হয়েছে। আমাদের থিম জেলায় নতুন। এই থিম অন্য কোথাও নেই।