কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে তৃতীয়াতেই দু’টি ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন হয়। চতুর্থী, পঞ্চমীতে অবশিষ্ট সবক’টি বিগবাজেটের পুজো উদ্বোধন হয়ে যায়। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে চলে দেবীর বোধন। শহরের একেবারে উত্তর দিকের চম্পাসারির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির মাঠের জাতীয় শক্তি সংঘ ও পাঠাগার থেকে দক্ষিণের এনজেপি আউটডোর স্টেডিয়ামে সেন্ট্রাল কলোনির দুর্গাপুজো মণ্ডপে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়তেই জনজোয়ার আছড়ে পড়ে। বিকেল ও সন্ধ্যার বৃষ্টি উৎসবমুখর শহরবাসীকে ভাবিয়ে তোলে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী কিংবা নবমীর জন্য অপেক্ষা না করে এদিন আট থেকে আশি ঠাকুর দেখতে বিগবাজেটের মণ্ডপগুলির প্রতিমা দর্শনের জন্য লাইনে দাঁড়ান।
জলপাইগুড়ির রাজবাড়িতে এদিন সন্ধ্যায় প্রতিমা দর্শনে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। শহরের দিশারী ক্লাব, তরুণ দল, কদমতলা দুর্গাবাড়ি, বামনপাড়া যুবক সংঘ, এবিপিসি ক্লাবের পুজো দেখতে সন্ধ্যার পর দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। শুক্রবার ষষ্ঠীর সকাল থেকেই আলিপুরদুয়ারের আকাশ ছিল ঝলঝকে। বিকেল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকে উপেক্ষা করে জেলা সদর শহর ও জেলার বাইরে ব্লক সদরগুলির মণ্ডপে মণ্ডপে উৎসব পিপাসু মানুষের ঢল নামে। লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোডর দু’ধারের বিগবাজেটের পুজো মণ্ডপগুলিতে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। মায়া টকিজ রোড, নিউ আলিপুরদুয়ার রোড, শামুকতলা রোড এবং কোচবিহার-ফালাকাটা রোডের মণ্ডপগুলি কার্যত দর্শনার্থীদের দখলে চলে যায়। উৎসব ঘিরে যাতে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি না হয় সেজন্য বিকেলে থেকেই ব্যস্ত মোড়ে ট্রাফিক পুলিস কর্মীরা নেমে পড়েন।
এদিকে বৃষ্টির ভ্রূকুটি কাটিয়ে দু’দিন হল কোচবিহারের আকাশে শরতের পেঁজা মেঘ ভেসে উঠেছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আনন্দ কড়ায়গণ্ডায় উপভোগ করতে ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ভিড় জমতে শুরু করেন। গত সপ্তাহে বৃষ্টির জন্য সঠিক সময়ে কয়েকটি ক্লাব তাদের মণ্ডপের কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই তারা উদ্বোধন পিছিয়ে দেয়।