কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
বালুরঘাট শহরের ডানলপ মোড়ের দোকানগুলিতে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভিড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সকাল থেকে বেলা যত বেড়েছে বাজারে পাল্লা দিয়ে ভিড়ও তত বেড়েছে। ক্রেতারা কার্যত লাইন দিয়ে কেনাকাটা করেন। শপিং মলগুলিতেও পা রাখার জায়াগা ছিল না। কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি জুতো, মেয়েদের সাজসজ্জা, সেলুন, বিউটি পার্লারগুলিতে ব্যাপক ভিড় নজরে পড়ে। ডেপুটি পুলিস সুপার (বালুরঘাট সদর) ধীমান মিত্র বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পুলিস কর্মী মোতায়েন রয়েছে। শহরে পুজোর দিনগুলিতে যাতে যানজট না তৈরি না হয় সেদিকে পুলিস সতর্ক নজর রেখেছে। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হরেরাম সাহা বলেন, পঞ্চমীর দিন বাজারে ব্যাপক ভিড় ছিল। বেশ ভালো ব্যবসা হয়েছে। আশা করছি শুক্রবারও এরকম ভিড় থাকবে।
এদিন সকাল থেকে বালুরঘাটের ডানলপ মোড়ে উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাজার করতে অনেকে প্রাইভেট গাড়ি, মোটর বাইক নিয়ে আসেন। তবে পার্কিং করবার নিদিষ্ট জায়গা না থাকায় ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়। অন্যদিকে টোটোর জেরে সকলের নাভিশ্বাস ওঠে। পঞ্চমীর দিনই এমন অবস্থায় তৈরি হওয়ায় পুজোর দিনে শহরের কী পরিস্থিতি হবে তা নিয়ে দর্শনার্থীরা উদ্বেগে পড়েছেন। কারণ পুজোর দিনগুলিতে যানবাহন চলাচলে শহরে এবার কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
এদিকে রায়গঞ্জ শহরের বাজারগুলিতেও এদিন সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে সাধারণ মানুষ এদিন হামলে পড়ে শাড়ি, জামাকাপড়, জুতো ও প্রসাধনীর দোকানে। শপিং মলগুলির সামনেও এদিন দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। ক্রেতাদের ভিড়ে এদিন কার্যত দোকান ও শপিং মলগুলিতে পা রাখার জায়গা ছিল না। ভিড় সামলাতে পুলিস কর্মীদেরও নাজেহাল অবস্থা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তের বাজারে ভিড় উপচে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত খুশি ছোট ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শপিং মলের মালিকরা। বিবেকানন্দ মোড়ের এক পোশাক ব্যবসায়ী দিবাকর দাস বলেন, কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের জন্য ব্যবসা খারাপ হলেও এদিন পুষিয়ে গিয়েছে।