কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
সুদর্শনপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবছর ৭০তম পুজোর আয়োজন করেছে। পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক নয়ন দাস জানিয়েছেন, মায়াপুরে নতুন যে ইস্কন মন্দির তৈরি হচ্ছে, সেই মন্দিরের আদলেই আমাদের মণ্ডপ দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে। পুজোর বাজেট প্রায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। মণ্ডপের পাশাপাশি এখানে প্রতিমাতেও থিম বনসৃজন ও সাক্ষরতা। মা দুর্গা এখানে অসুরকে বধ করে গাছ কাটতে বাঁধা দেবেন। গণেশ গাছ লাগাবেন। লক্ষ্মী গাছের গোড়ায় জল দেবেন। সরস্বতী নিরক্ষরদের সাক্ষর করতে ব্যস্ত থাকবেন। কার্তিক ছোট ছোট শিশুদের পাঠশালায় নিয়ে যাবেন। দেবদেবীর এমন মূর্তি গড়েছেন জয়ন্ত পাল ও গোপাল পাল। দর্শনার্থীদের ওই থিম আকর্ষণ করবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। ১১০ ফুট চওড়া ও ৯০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপটি দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে। পুজো মণ্ডপে ঢোকার আগে চন্দননগরের আলোর খেলাও থাকবে।
অমর সুব্রত পরিচালিত অশোকপল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসবের এবছর ৬২তম বর্ষ। পুজো কমিটির সম্পাদক অরূপ দত্ত বলেন, প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বাজেটের পুজোর আয়োজন দর্শকদের নজর কাড়বেই। এখানে একচালার সাবেকি ধাঁচের প্রতিমা থাকবে। নবদ্বীপের শিল্পীরা প্রতিমা ও প্যান্ডেল তৈরি করেছেন। আমাদের মণ্ডপে দেবীর দশটি রূপ দেখা যাবে। মণ্ডপের ভেতরে স্টিলের কারুকার্য দেখে মনে হবে যেন রুপো দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মণ্ডপ। সুন্দর করে সাজানো গোটা মণ্ডপটাই জ্বলজ্বল করবে। স্টীল, পাট ও কুলো দিয়ে মণ্ডপকে সাজানো হয়েছে। পুজো মণ্ডপে প্রবেশের আগে সাতটি আলোর গেট থাকবে। শিশুদের আকর্ষণ করবার জন্যও চেষ্টার কোনও কসুর রাখছেন না উদ্যোক্তারা। তাদের জন্য থাকছে রকমারি আলোর কাজ। পঞ্চমীতে ওই পুজোর উদ্বোধন করবেন বিধায়ক অমল আচার্য। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। পুজো মণ্ডপটির যাতায়াতের রাস্তা সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের বিগ বাজেটের ওই দুটি পুজোর আয়োজনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন দর্শনার্থীরাও।