কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
শহরের উল্লেখযোগ্য বাজারগুলির মধ্যে মহাবীরস্থান মার্কেট অন্যতম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সাজসজ্জার উপকরণ দেখছিলেন এক মহিলা। তিনি একটু অসাবধান হতেই তাঁর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে এক দুষ্কৃতী চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। এদিন ওই এলাকাতেই এক ব্যক্তির প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী।
শুধু মহাবীরস্থান মার্কেট নয়, শহরের বিধান মার্কেট, হিলকার্ট রোড বাজার, এসএফ রোড বাজার, হকার্স কর্নার মার্কেট সহ সমস্ত বাজারেই এখন জমজমাট ভিড়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পুলিসের নজরদারির অভাবেই বারবার ছিনতাই, পকেটমারির মতো ঘটনা ঘটছে। পুলিস ও গোয়েন্দাদের একাংশের সন্দেহ, ঘটনাগুলির সঙ্গে শহরের আশপাশ এলাকার, জলপাইগুড়ি, ইসলামপুর ও প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের দুষ্কৃতীরা জড়িত।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার(পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, মহাবীরস্থান মার্কেটে যে মহিলার কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনতাই হয়েছিল, তার কিনারা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই ঘটনায় জড়িত দূষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে ওই টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। কাজেই, পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শহরের ঝঙ্কার মোড়ে একটি ঋণদান সংস্থায় ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর শহরে কয়েকটি দোকানে ও বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এনজেপি এলাকায় একটি এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা লুট হয়। দেশবন্ধু পাড়ার কাছে ও মেডিক্যাল মোড়ে দু’টি এটিএম কাউন্টারে হামলা চালানো হয়। সিনেমা হল রোডে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ঘটনাগুলির পুরোপুরি কিনারা করতে পারেনি পুলিস।
এই অবস্থায় নিরাপত্তার দাবিতে বৃহত্তর শিলিগুড়ি খুচরা ব্যবসায়ী সমিতি এদিন পুলিস কমিশনার ত্রিপুরারী অর্থবের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। পরে সমিতির সভাপতি পরিমল মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরী বলেন, আগে বাজারগুলিতে নিয়মিত পুলিস টহল দিত। প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিস বৈঠক করতো। এখন সেসব করছে না। ফলে, বিভিন্ন বাজারে দুষ্কর্ম বেড়েছে। এবার দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য রুখতে কমিশনার প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক, বাজারে ঘনঘন টহল, নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এরপরও অবস্থা পরিবর্তন না হলে জোরদার আন্দোলনে নামা হবে।