কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
গান্ধীনগর লীলাস্মৃতি ভবানী মন্দির দুর্গাপুজো কমিটির সহ সভাপতি সাধন সরকার বলেন, আমাদের পুজোয় বিয়ের সমস্ত মাঙ্গলিক বস্তুকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নবদ্বীপের কারিগরেরা এই মণ্ডপটি তৈরি করছেন। পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি আলোকসজ্জার উপরেও আমরা বিশেষ জোর দিয়েছি।
ইউনাইটেড বাজার মাঠ দুর্গাপুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কৌস্তুভ নিয়োগী বলেন, আমাদের দেশের পার্লামেন্ট একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেই কারণেই আমরা পার্লামেন্টকে পুজোর থিম হিসেবে তুলে ধরেছি।
গান্ধীনগর লীলাস্মৃতি ভবানী মন্দিরের পুজো এবারে ৭০ তম বর্ষে পা দেবে। এই পুজোর মণ্ডপটি উচ্চতায় খুব বেশি নয়। তবে মণ্ডপে প্রবেশের আগেই দেখা যাবে বাঁশ ও ফাইবার দিয়ে তৈরি মণ্ডপের গায়ে কুলো, মুকুট, টোপর, প্রজাপতি, শঙ্খ, শোলার ফুল ইত্যাদির কাজ। মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলে দেখা যাবে পাল্কিতে চেপে বর-বউ যাচ্ছে। এছাড়াও থাকছেন শিব-পার্বতী। মণ্ডপের ভিতর দিয়ে হেঁটে পৌঁছতে হবে প্রতিমার সামনে। সেখানে একচালার প্রতিমা থাকছে। প্রতিমায় থাকবে শোলার বিভিন্ন সূক্ষ্ম কারুকাজ। প্রতিমা মূল মণ্ডপের ভিতরেই তৈরি করা হচ্ছে। এই পুজোর বিশেষ আর্কষণ আলোর কাজ। মণ্ডপে প্রবেশের চারটি পথেই একাধিক আলোকস্তম্ভ বসানো হয়েছে। মণ্ডপের পাশের একটি পুকুরকেও আলো দিয়ে সাজানো হবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে বাজার মাঠের পুজোটি বয়সে কিছুটা নবীন। এই পুজো এবার ষষ্ঠ বর্ষে পা দেবে। এখানকার পুজোর মাঠটি বেশ বড়। সেই মাঠের মাঝখানে বাঁশ ও কাপড় দিয়ে বিশাল আকারের পার্লামেন্টের আদলে মণ্ডপটি গড়ে তোলা হচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে মহাত্মা গান্ধী, বি আর আম্বেদকর, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহরু, চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ অন্যান্য মনীষীদের ছবি। এখানকার প্রতিমা হবে একচালার ও ডাকেরসাজের। পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীরা এই দু’টো পুজোর মণ্ডপে গেলে তাঁদের ভালো লাগবে বলেই আশাবাদী উদ্যোক্তারা।