কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এব্যাপারে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, এবার মালদহে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টি কমলেও গঙ্গা, ফুলহার, মহানন্দার জলস্তর কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পুরোপুরি বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের ছুটি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা না বের হওয়া পর্যন্ত কেউ ছুটিতে বাড়ি যেতে পারবেন না। এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তরও এক নির্দেশিকায় বেশ কিছু বিভাগের ছুটি বাতিল করেছে।
প্রসঙ্গত, এবার মালদহে বর্ষায় তেমন বৃষ্টি হয়নি। একমসয় বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু মহালয়ার আগে নিম্নচাপের জেরে জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। একই কারণে বিহারে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি হয়। ফলে সন্নিহিত অঞ্চলের জল নদনদী বেয়ে মালদহে নামতে শুরু করে। তারফলে জেলার রতুয়া-১, মানিকচক, কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত হয়। মহানন্দার জলে ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহের একাধিক ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এই অবস্থায় ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজে প্রশাসনের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। প্রশাসনের আধিকারিকরা উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বণ্টন এবং উদ্ধার কাজের তদারকি করেন। এই সময় তাঁরা ছুটিতে থাকলে সমস্যার কথা ভেবেই বিডিও, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার আধিকারিকদের পুজোর ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত জেলাশাসক নিয়েছেন। যদিও এনিয়ে আধিকারিকদের অনেকের গোঁসা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, আমরা পুজোয় ‘রোটেশনের’ ভিত্তিতে ছুটি পাই। ফলে মোট ছুটির অর্ধেক কমবেশি সকলেই ভোগ করেন। এবারও ছুটির রোটেশন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু জেলাশাসক নির্দেশিকা জারি করে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দিয়েছেন। জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যে ছুটি পাব তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তিনি আরও বলেন, চাকরির নিয়ম অনুযায়ী আমরা ভিনজেলায় কর্মরত। বছরে সেভাবে ছুটি পাই না। জেলাশাসকের অনুমতি ছাড়া ‘স্টেশন লিভ’ করা যায় না। একমাত্র পুজোর সময় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে টানা কিছুদিন কাটানোর সুযোগ হয়। এবার তা হবে না। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রোটেশনে ডিউটি করলে অসুবিধা হতো না বলেই ওই আধিকারিক মনে করেন।