সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
ছাত্রছাত্রীদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য বলেন, তোমাদের দাবি মেনে আমি নিজেই চলে এসেছি। আমি সহমর্মী। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত যাতে হয় সেজন্য তোমাদের দাবি মেনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদিও ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের কথাকে উপেক্ষা করেই তাঁর সঙ্গে একপ্রকার তর্ক জুড়ে দেয়। পাশাপাশি উপাচার্যের সামনেই অধ্যাপকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে। এরপর উপাচার্য সহ অধ্যাপকরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। আন্দোলন চলতেই থাকে। শিক্ষামহলের বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীরা যা করছেন তা ঔদ্ধত্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কালিমালিপ্ত করার পাশাপাশি উপাচার্যকেও তাঁরা অসম্মান করেছেন। এটা মোটেই ছাত্রসুলভ আচরণ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ অধ্যাপকের দাবি, এই ঘটনায় বহিরাগত কোনও শক্তির মদত রয়েছে। তাই আন্দোলনকারীরা এতটা ঔদ্ধত্য দেখাতে সাহস পাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রছাত্রীরা সন্তান সমতুল্য। সন্তান স্নেহেই তাদের বুঝিয়েছি। তবে ওরা যে ভুল করবে সেই ভুল তো আর আমরা করতে পারি না। ওদের জানিয়েছি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। আমাদের কাজ ওদের সবরকম ভাবে বোঝানো। সেই কাজ এদিন করেছি। এবার যদি না বোঝে তবে অমরা অন্যভাবে দেখব।
উল্লেখ্য, গত বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন যখন পড়ুয়ারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তখন ছাত্রদের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক ভবনে প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিশ্বদ্যিালয় শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ছাত্রছাত্রীরা বিনা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের উপর হামলা করেছে। তার প্রতিবাদে এই আন্দোলন আগামীতেও চলবে। এবিষয়ে সমিতির সভাপতি শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমরা উপাচার্যকে সবটাই জানিয়েছি। আমাদের দাবী যারা শিক্ষাকর্মীদের নিগ্রহ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামব।
এদিকে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা কথা বলতে গেলে তাঁদের সঙ্গেও অবভ্য আচরণ করা হয়। এদিন তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তাঁদের দাবি যে শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের উপর হামলা করেছিল অনতিবিলম্বে তাদের সাসপেন্ড করতে হবে। তারপর তদন্ত। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দোষ প্রমাণ না হলে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। যদিও আইন বিভাগের প্রধানকে পাল্টা আইন শেখাতে সচেষ্ট হন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। এদিকে, এদিন আন্দোলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নির্ণয় রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের দাবি, এই আন্দোলনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মদত রয়েছে। যদিও এবিষয়ে নির্ণয়বাবু কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে, ছাত্রছাত্রীদর আন্দোলন চলাকালে বাংলা বিভাগের প্রধান নিখিল চন্দ্র রায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, অনেকক্ষেত্রেই সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। তার পুনরাবৃত্তি হলে আগামীতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এতে ছাত্রছাত্রীরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে।