সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা পিন্টু ভৌমিক পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী হলেও ঠিকাদারিরও কাজ করতেন। সেই ব্যবসার সূত্র ধরেই রাঙাপানি এলাকার বাসিন্দা তথা ওষুধ ব্যবসায়ী মলিন সিংহর সঙ্গে পরিচয় হয়। একসময় যা বন্ধুত্বে গড়ায়। আর সেই সুবাদেই পিন্টুর বাড়িতে অবাধ যাতায়াত শুরু হয়েছিল মলিনের। এরপরেই এক বছর আগে মলিনের সঙ্গে পিন্টুর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। বিষয়টি শুরুতেই আঁচ করতে পেরেছিলেন পিন্টুবাবু। এরপরই শুরু হয় পারিবারিক বিবাদ। যা ক্রমশ চরমে পৌঁছাতে শুরু করে। এই অবস্থায় দু’জনকে হাতেনাতে ধরার জন্য মাসখানেক আগে গোপনে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগান পিন্টুবাবু। তার কিছুদিন বাদে গত ৫ মে বিশেষ কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যান পিন্টুবাবু। সে সময় ফাঁকা বাড়িতে সুমনার সঙ্গে দেখা করতে যায় মলিন। আর সেই মূহূর্তেই বাড়ি ফিরে আসেন পিন্টুবাবু। ফাঁকা বাড়িতে দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলায় তুমুল বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেসময় একটি কাঠের বাটাম দিয়ে সজোরে পিন্টুবাবুর মাথায় আঘাত করে সুমনা। ঘটনায় মাটিতে পড়ে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যায় মলিন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে ফের ওই বাড়িতে আসে সে। এরপর মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে বাড়ির পিছনের পথ ধরে মৃতদেহ গাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফুলবাড়ির সিপাইপাড়া পৌঁছে মহানন্দা ক্যানেলের জলে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিসের নজর এড়াতে রাঙাপানি হয়ে ঘুরপথে যাওয়া আসা করেছিল তারা। পরবর্তীতে ৬ মে সকালে মলিনের কথা মতো খোদ সুমনা মাটিগাড়া থানায় পৌঁছে স্বামীর নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে, ওই প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে পাল্টা অপহরনের অভিযোগ দায়ের করে পিন্টুর পরিবার। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করতেই সুমনার প্রতি সন্দেহ হয় পুলিসের। সেই সন্দেহের ভিত্তিতেই প্রথমে সুমনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় পুলিস। পরে সুমনার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তলব করা হয় মলিনকে। এরপর দু’জনকে টানা জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভেঙে পড়ে। খুনের ঘটনা স্বীকার করে।