বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা প্রায় ৬ হাজার আক্রান্তের অ্যান্টিবডির নমুনা বেছে নেন। যা কাটাছেঁড়ার পর দেখা যায়, করোনা আক্রমণের পর পাঁচ থেকে সাত মাসের জন্য সেই অ্যান্টিবডি সক্রিয় থাকে। এর কারণ কী? অধ্যাপক ভট্টাচার্য জানান, আমাদের দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। ফলে কোনও ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলে, সক্রিয় হয়ে ওঠে প্লাজমা সেল। এই কোষগুলি খুব বেশিদিন না বাঁচলেও, প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে। যা সরাসরি ভাইরসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম। সংক্রমণের মোটামুটি ১৪ দিনের মধ্যে রক্তে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। অনাক্রম্যতার দ্বিতীয় ধাপও রয়েছে। গবেষকদের মতে, স্বল্প আয়ুর প্লাজমা সেল বিনষ্ট হওয়ার পর নতুন করে দীর্ঘমেয়াদি কোষ রোগ প্রতিরোধ শুরু করে। অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করে তারাও। যা আগের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকরী। বেশ কয়েক মাস কোভিড পজিটিভ রোগীদের অ্যান্টিবডি লেভেল পর্যবেক্ষণের পর গোটা বিষয়টি গবেষকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। গবেষণাগারে বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর করোনা আক্রান্তের পাঁচ মাস নিরাপদ থাকার তত্ত্বটি উঠে আসে।
এই বিষয়ে চিকিৎসক মহল কী ভাবছে? অ্যারিজোনা হেলথ সায়েন্সেসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি ক্লার্কের বক্তব্য, রক্ষাকবচ হিসেবে অ্যান্টিবডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এতদিন প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এবারের গবেষণা তার মেয়াদ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তুলে ধরেছে। একই রকম আত্মবিশ্বাসী অধ্যাপক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী গবেষণায় শুধু স্বল্প আয়ুর প্লাজমা সেল নিয়েই চর্চা চলেছে। কিন্তু কেউই দীর্ঘজীবী প্লাজমা কোষ নিয়ে চিন্তা করেননি। ফলে অ্যান্টিবডির কার্যক্ষমতা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা গড়ে ওঠেনি। এরপর তিনি যোগ করেন, সমীক্ষা অনুযায়ী সার্স-কোভ-১-এ যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা নতুন করে সার্স-কোভ-২ দ্বারা আক্রান্ত হননি। এই দু’টি ভাইরাসের মধ্যে চরিত্রগত অনেক মিলও রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে অ্যান্টিবডির কার্যক্ষমতার তত্ত্ব নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বাঙালি গবেষক।