কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওগুলির ভিত্তিতে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগে কিছু একটা খুব দ্রুতগতিতে মাটি থেকে উপরে উঠে বিমানটিকে আঘাত করে। তারপর আলোর ঝলকানি দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণের আওয়াজে বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য এবং কানাডার নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির খবরের ভিত্তিতে এদিন ট্রুডো বিমান দুর্ঘটনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রকেই দায়ী করেছেন। তবে তিনি এও বলেন, ‘হতে পারে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়নি। কিন্তু কানাডাবাসীর মনে প্রশ্ন জাগছে। এবং তাঁরা সেগুলির উত্তর চান। যতক্ষণ না সঠিক উত্তর মিলছে, ততক্ষণ সরকার বিশ্রাম নেবে না।’ তিনি এও জানান, ওই দুর্ঘটনায় যাতে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
ট্রুডোর মন্তব্যকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতারাও সমর্থন করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে দু’জনেই এটা মেনে নিয়েছেন, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে ওই মিসাইল প্রয়োগ করেনি।
ইতিমধ্যেই মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংকে তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য ইরানের তরফে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাভি শুক্রবার একথা জানান। তিনি এও বলেন, যে যে দেশের নাগরিকরা ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, সে দেশের বিশেষজ্ঞরা এসে তদন্তে সহযোগিতা করতে পারেন। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আবার বিশদ তদন্তে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে আবেদন করেছে ইউক্রেন। পাশাপাশি ৪৫ জন বিশেষজ্ঞকে তদন্তের জন্য তারা ইরানে পাঠিয়েছে। বুধবারের ওই দুর্ঘটনায় ইরানের ৮২ জন নাগরিক ছাড়া কানাডার ৬৩ জন, ইউক্রেনের ১১ জন, সুইডেনের ১০ জন, আফগানিস্তানের চারজন, জার্মানির তিনজন এবং ব্রিটেনের তিন নাগরিকের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, মার্কিন হানায় ইরানের সেনাপ্রধান কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নেয়। বদলা নিতে ইরাকের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। আর ঠিক তারপরই ইরানের মাটিতে ইউক্রেনিয় বিমান ভেঙে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই ইরানের ছোঁড়া মিসাইলের আঘাতেই ওই দুর্ঘটনা ঘটল কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্দেহ জন্ম নিয়েছে।