কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
গত শুক্রবার ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলার মৃত্যু হয় ইরানের শক্তিশালী রেভেল্যুশনারি গার্ডের জেনারেল কাশেম সোলেমানির। তারপরই বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল কাডস বাহিনী। এক সপ্তাহ না কাটতেই মঙ্গলবার মাঝরাতে মার্কিন সেনা ও যৌথ বাহিনীর ব্যবহৃত দু’টি ঘাঁটিকে নিশানা করেছে ইরানি সেনা। এর মধ্যে একটি হল আল-আসাদ, অন্যটি ইরবিল। এই সেনাঘাঁটি দু’টি লক্ষ্য করে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে তেহরান। ইরানি সেনা বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ইরাকে মার্কিন ও যৌথবাহিনীর ব্যবহৃত ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ২২টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ইরাকে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছেন। আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক যৌথবাহিনীর অংশ হিসেবে তাঁরা সেখানে আছেন।
এদিন ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেলে হামলার কথা জানানো হয়। প্রায় একই সময়ে এপ্রসঙ্গে ট্যুইট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘অল ইজ ওয়েল। ইরাকে আমাদের সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ঘাঁটিগুলিতে ক্ষতির হিসেব কষা হচ্ছে।’ এই হামলা প্রসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই বলেন, ‘গতরাতে আমেরিকার গালে একটা থাপ্পড় মারা হয়েছে।’ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ‘অনুপ্রবেশকারী আমেরিকা’কে যোগ্য জবাব দেওয়া গিয়েছে বলে মত ইরানের রেভেল্যুশনারি গার্ডের। এই হানাকে ‘অপারেশন শহিদ সোলেমানি’ নাম দিয়েছে তারা। বিবৃতি জারি করে কাডস বাহিনী জানিয়েছে, মার্কিন অনুপ্রবেশকারীদের সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং সোলেমানির উপর কাপুরুষচিত হামলা ও হত্যার বদলা নিতেই ‘অপারেশন শহিদ সোলেমানি’ চালানো হয়েছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের তরফে, গোটা পরিস্থিতির ব্যাপারে ট্রাম্পকে জানানো হয়েছে। তিনি নিজেও নজর রাখছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব স্টেফেনিক গ্রিজম এই তথ্য জানিয়েছেন। স্টেফনিক জানান, ‘ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। প্রেসিডেন্টকে সব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তিনি নিজেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পাশাপাশি ন্যাশনাল সিকিউরিটি টিমের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন তিনি।’ এই বৈঠকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ কোনও ঘোষণা করতে পারেন বলে খবর। পাশাপাশি ইরানের হামলার পর ইরাকে থাকা মার্কিন সেনা ও অন্য সহযোগীদের জন্য কড়া সতর্কতা জারি করেছে পেন্টাগন।
অপরদিকে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা আগেই জানিয়েছিল ইরান। এপ্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাশেম সোলেমানির হত্যার বদলা নিতে আমেরিকার বাহিনীর হামলা করার কথা মৌখিকভাবে ইরান জানিয়েছিল। নির্দিষ্ট করে কোনও স্থানের উল্লেখ করা না হলেও মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতেই হামলা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল তেহরান।