কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
পূর্ব লাদাখে এখনও উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে চীন। একের পর এক আলোচনা ব্যর্থ। কিছুতেই সমাধান সূত্রে আসতে চাইছে না বেজিং। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে তাদের অনীহা বেশ প্রকট। সেই কারণেই লাদাখের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের অরুণাচল সীমান্তেও আগ্রাসন বাড়াচ্ছে চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে অগ্রাহ্য করে ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ছে লালফৌজ। সীমান্তে তৈরি এই সীমা-অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে তাদেরই ‘মিত্র’ পাকিস্তান। আর এই ঘোঁট পাকানোয় অনুঘটকের কাজ করছে আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি। লক্ষ্য একটাই—যেনতেন কাশ্মীরকে অশান্ত করে তোলা। সেনা সূত্রে খবর, গত এক মাসে উপত্যকায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। আইএসআইয়ের মদতে জঙ্গি তৎপরতাও বেড়েছে ভূস্বর্গে। এমন দুই বেয়াড়া পড়শিকে এবার সমঝে দিতেই চাইছে ভারতীয় সেনা। কীভাবে? তারই ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হতে পারে সোমবারের শীর্ষ বৈঠকে।
ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বের অরুণাচলের চীন সীমান্ত সংলগ্ন তাওয়াংয়ে সামরিক প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছে সেনা। শুক্রবার অসমের সীমান্ত লাগায়ো সেনাঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ‘পিনাকা’ ও ‘স্মার্চ’। এই দু’টি যুদ্ধাস্ত্র আসলে বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন রকেট লঞ্চার সিস্টেম। লেফটেনেন্ট কর্নেল শ্রীনাথ জানিয়েছেন, ‘স্মার্চ’ ও ‘পিনাকা’ দু’টি রকেট লঞ্চারই যুদ্ধের যাবতীয় প্রতিকূলতা জয়ে সক্ষম। স্মার্চের অভিঘাত এতটাই তীব্র যে, চোখের পলকে ৯০ কিমি দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে দেওয়ার শক্তি ধরে সে। ১২টি রকেট ছুড়তে পারে মাত্র ৪০ সেকেন্ডে। আর ‘পিনাকা’ মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার। এক সঙ্গে ১.২ টন গোলাবারুদের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পিনাকা গুঁড়িয়ে এই দিতে পারে ৩৫০ বর্গকিমি এলাকা।
সড়কপথের পাশাপাশি তাওয়াং সীমান্তে অস্ত্র মোতায়েন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে পশ্চিম কামেং জেলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে সেলা টানেল। সুড়ঙ্গের প্রধান মুখ নুরানংয়ে। চীনকে যোগ্য জবাব দিতে কৌশলগত কারণেই এই পাতালপথ। টানেল দিয়ে খুব সহজেই যুদ্ধ সরঞ্জাম, ট্যাঙ্কার পৌঁছে যেতে পারে একেবারে চীনের নাকের ডগায়। টানেল-পথে তাওয়াং যাওয়ার সময়ও প্রায় এক ঘণ্টা কমে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর কর্নেল পরিক্ষীত মেহরা। কাজ চলছে রাতদিন। উদ্দেশ্য একটাই, এক ইঞ্চি জমি ছাড়া যাবে না চীনকে।