কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
রাজ্যগুলির হাতে পড়ে আছে ১০ কোটিরও বেশি ডোজ। তাও কেন বিলম্ব, ভেবে উঠতে পারছে না কেন্দ্র। রাজ্যগুলি অন্তর্ঘাত করছে, সরাসরি এমন অভিযোগও করতে পারছে না মোদি সরকার। আবার এক মাস পেরতে চললেও মাত্র ২০ কোটি ডোজ দিতে না পারার জন্য মোটেই স্বস্তিতে নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। কারণ, গত সপ্তাহে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ১৮-১৯ অক্টোবরের মধ্যে ১০০ কোটি ডোজ দেওয়ার রেকর্ড করবে ভারত। কিন্তু সোমবারের হিসেব মতো এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের ৯৮ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডবল ডোজের সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন পেয়েছেন মাত্র ২৮ কোটির কিছু বেশি নাগরিক। একটি ডোজ পেয়েছেন ৭০ কোটি মানুষ। তাই রাজ্যগুলিকে টিকাকরণে গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র।
এতদিন ডোজের অভাবে রাজ্যগুলি কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলছিল। কিন্তু এখন তো ডোজের অভাব নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ রাজ্যগুলির হাতে ১০ কোটি ৭২ লক্ষ ৯০ হাজার ১০টি ডোজ পড়ে রয়েছে। সেই হিসেবে রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই ১০২ কোটির বেশি ডোজ সরবরাহ করা হয়ে গিয়েছে। অথচ ১০০ কোটি ডোজের টিকাকরণের মাইলফলক ছুঁতে বিলম্ব হচ্ছে!
টিকাকরণের গোড়ায় ১০ কোটি ডোজ পেরতেই সময় লেগেছিল ৮৫ দিন। পরে সেটি কমতে কমতে মাত্র ১১ দিন হয়। একদিনে ভ্যাকসিনের রেকর্ড তৈরি হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর। আড়াই কোটি ডোজ দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ডোজ দেওয়া হয় প্রায় ৮০ কোটি। তারপর থেকে এক মাস পেরিয়ে গেলেও মাত্র ২০ কোটি ডোজ দেওয়া যাচ্ছে না দেখে স্বস্তিতে নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এই হার চলতে থাকলে চলতি বছরের মধ্যে ৯৪ কোটি নাগরিকের সম্পূর্ণ টিকাকরণের টার্গেট আদৌ পূরণ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গোটা দেশের ১৮ ঊর্ধ্ব ৯৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯ হাজার ৫৯৬ জন নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৭ কোটি ৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৩ জন রয়েছেন বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রাপ্তবয়ষ্কদের টিকাকরণে ১০০ কোটি ডোজের মাইলফলক ছোঁয়ার পরেই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কবে ছোঁবে সেই ১০০?