কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বাংলাদেশে দুর্গামণ্ডপ ও ইসকন মন্দিরে হামলা চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। যে ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, তা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্টা বার্তা, দোষীরা রেহাই পাবে না। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে বাংলায় বিজেপি রাস্তায় নেমে কর্মসূচি করছে। রাজনৈতিক রং চড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা কোনওভাবেই ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, বিজেপির এটা একটা জঘন্য প্রচেষ্টা। বাংলাদেশে যা হয়েছে, তা সবাই নিন্দা করেছে। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজনীতি ঠিক নয়। খুব অন্যায় করছে বিজেপি। অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। প্রায় একই সুরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনার নিন্দা, আবার এ নিয়ে বিজেপির রাজনীতি করতে যাওয়া, দুটিই একইরকমভাবে নিন্দনীয়।
এখানেই তৃণমূল নেতৃত্ব উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন। ফলে তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিবেশীসুলভ সুসম্পর্ক রয়েছে। এখানেই বাংলার বিজেপি নেতাদের বক্তব্য-জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলটপকা মন্তব্য বা রাজনৈতিক জলঘোলা করা উচিত নয়।
তবে বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি ‘বিভাজনের রাজনীতির’ অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৌগত রায়। অপর সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, বিজেপির রাজনীতি ধর্মীয় মেরুকরণের। সামনে চারটি উপনির্বাচন আছে বাংলায়। এটা নিয়ে কিছু যদি ভোট ভাগাভাগি করা যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। এই সুযোগে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা। তবে বিজেপি যে ধরনের রাজনীতি করুক না কেন, বাংলার মানুষ তা সমর্থন করবে না। পরিষ্কার দাবি জোড়াফুল শিবিরের। নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, জন্মলগ্ন থেকে বিজেপি বহুরূপী দল। বিভিন্ন চেহারায় বিভিন্ন নামে আত্নপ্রকাশ করেছে। ওএদর মূল রাজনীতি ধর্মীয় মেরুকরণ। বাংলার মানুষকে এইভাবে বিভ্রান্ত করা যায় না। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করেছিল এবং তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে একসঙ্গে বেঁধে রেখেছেন। তাই এখানে বিভেদকামী শক্তি মাথা চাড়া দিতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।