Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

এ এমন এক শ্বাসরুদ্ধ সময়, যখন বেঁচে থাকার শর্তগুলো এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। ক্রমাগত ভাইরাসের আক্রমণ আর আতঙ্কে হারিয়ে গিয়েছে মানুষের আত্মবিশ্বাস। পৃথিবীটা আজ যেন চির অমানিশার এক গ্রহ। এরই মধ্যে জেগে উঠেছে আরও এক কোজাগরী রাত। এই রাতে অফুরান জ্যোৎস্নার ঢেউ ওঠে চরাচর জুড়ে। মার খাওয়া এই সঙ্কুচিত জীবনে নেমে আসুক অলৌকিক এক স্বপ্নের রাত, শুভ দিন। আবার নতুন বিশ্বাসে, নতুন প্রত্যাশায় বেঁচে ওঠার আশ্বাস ছড়িয়ে পড়ুক লক্ষ্মীপুজোর এই শুভক্ষণে। দেশের বহু মানুষ এখন কর্মহীন, অর্থহীন, স্বাস্থ্যহীন এক ভাঙাচোরা প্রজাতি। তার পুনরুত্থানের কামনায় বাঙালির ঘরে ঘরে কোজাগরী পূর্ণিমায় চলছে ধনদাত্রীর আরাধনা। অনন্তকাল ধরে বাঙালি বুক নিংড়ে যে সামান্য বরটুকু চেয়েছে, সেটা হল তার সন্তানকে দুধেভাতে রাখা। 
তবে সময় বড় যন্ত্রণাময়। উৎসবের আসরে একে তো ভাইরাসের আতঙ্ক ছিলই, তার উপরে মানবঘাতী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির উস্কানি মানুষকে বড়ই পীড়িত করেছে। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদকে অস্ত্র করে অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত জারি রয়েছে। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দার। একশ্রেণির মৌলবাদী দস্যু সেদেশের সংখ্যালঘু মানুষের ধর্মাচরণের উপর কুৎসিতভাবে আক্রমণ করেছে। এই জঘন্য আচরণের বিরুদ্ধে নিন্দায় মুখর হয়ে উঠেছে সারা বিশ্ব। তবে এটা যে বাংলাদেশের অন্তর থেকে সম্মিলিতভাবে উঠে আসা কোনও আক্রমণ নয়, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এমন এক শক্তি, যারা বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলতে চায়, ভারতের সঙ্গে হাসিনার সদ্ভাব নষ্ট করতে চায়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র মূলত দাদা চীনের, পাকিস্তানপন্থী বাংলাদেশিদের এবং রোহিঙ্গাদের। মনে রাখা দরকার এই ধরনের কাজ ভবিষ্যতে আরও হবে। খাল কেটে কুমিরের মতো রোহিঙ্গাদের ঘরে ঢোকানোর আরও মাশুল গুনতে হবে হাসিনা সরকারকে। এই সময়ে হাসিনা সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মৌলবাদীদের মোকাবিলা করে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হবে। উৎসবের সময় সেখানকার বিভিন্ন মণ্ডপে, মন্দিরে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তার পিছনে একটা বড় উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। সেই রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির আগুন জ্বলেছে কুমিল্লা, নোয়াখালি, রংপুর, রাজশাহি, সিলেট, ঢাকা, মাদারিপুর, কাশিমবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর, কক্সবাজার, বেগমগঞ্জে। মন্দিরে হামলা হয়েছে, মণ্ডপে হামলা হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ইসকন। যেভাবে সর্বত্র একসঙ্গে আক্রমণ হয়েছে, তাতে বোঝাই যায় এর পিছনে একটা ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে আশার কথা বাংলাদেশেরই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ও শিক্ষিত সংখ্যাগুরুরাই এই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সঙ্ঘবদ্ধভাবে তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছেন, বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের হাতের পুতুল হতে দেবেন না। তাঁরাই পুজোর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে দুর্গামণ্ডপ রক্ষা করেছেন। সারারাত দুই সম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আসলে অশুভ শক্তির কোনও জাত হয় না, সম্প্রদায় হয় না, দেশও হয় না। অশুভ শক্তি হল অসুরের জাত। তারা মানব কল্যাণ বিরোধী। সমস্ত ধর্মের মধ্যেই অসুরদের উৎপাত অনুভব করা যায়। সমস্ত শুভ শক্তিকে একত্রিত হয়ে তাকে ধ্বংস করতে হবে। 
আজ কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ উপস্থিত। সেখানে ধর্মের নামে একটা উন্মত্ততা তৈরির প্রয়াস চলছে। অশুভ শক্তি চাইছে, হাসিনার ক্ষমতার ভিতকে ভেঙে গুঁড়িয়ে মৌলবাদী শাসকের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। আমাদের এখানে যেমন ধর্মান্ধ মানুষ আছেন, আবার ধর্মনিরপেক্ষ মানুষও আছেন, বাংলাদেশেও সেরকম। সেখানকার ধর্মনিরপেক্ষরা হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে রাশ শক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন। আবেদন জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, এই দেশটাকে অবিলম্বে ধর্মনিরপেক্ষ করে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে চরম আঘাত হানতে হবে। পাশাপাশি ভারতের চাপও রয়েছে। হয়তো অচিরেই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার বিল আনবে। যে আদর্শকে একদিন শেখ মুজিবুর রহমান মেনে চলতেন, আজ সেই আদর্শের পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।’ কিন্তু মৌলবাদীরা সেদিন তাঁকে খুন করে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার বোধকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ইসলাম ধর্মকেই রাষ্ট্র পরিচালনার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল। পরে হাসিনা সরকার এসে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার বোধকে কিছু কিছু সংযোজিত করেন। তিনি সেখানে সব ধর্মের সমানাধিকারের সুযোগ তৈরি করেছেন। সংবিধানে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত হলেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও সমান স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিতে হবে।  সেই অধিকার শুধু কাগজে কলমে স্বীকৃত হলেই চলবে না। বাংলাদেশের প্রশাসনকে তা মেনে চলতেও হবে। চীন, পাকিস্তান  চাইছে বাংলাদেশ তাদের হাতে সাজানো তামাক খাক। তাদের বশংবদ হোক। তাই এই লড়াই শুধু সেদেশের সংখ্যালঘুদেরই নয়, এ লড়াই সেদেশের মানুষ এবং প্রশাসনেরও। হয় তারা রুখে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘুদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে, না হয় তারা চীনের দাসে পরিণত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। সেদেশের সচেতন, শিক্ষিত মানুষের কাছে এই ভবিতব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। তাই তাঁরা নিজেদের দেশকে বাঁচাতে মৌলবাদীদের নির্মূল করতে চাইছেন দেশ থেকে। সেই বোধ জেগেছে হাসিনারও। তিনিও চাইছেন, রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। অশান্তির পর একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি বলেছেন, ‘যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের এটাই মূলমন্ত্র।’ সুতরাং অনেকেই মনে করছেন, তিনি আবার দেশকে ধর্মনিরপেক্ষতার মন্ত্রে বাঁধতে সক্ষম হবেন। 
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে এদেশের বিজেপিকূল একটা ইস্যু পাওয়ার আশায় সজাগ হয়ে উঠেছে। তারা এটাকে হাতিয়ার করে বাংলার মানুষের মনে একটু সহানুভূতির ঢেউ তুলতে চাইছে। রাজ্যের গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে পর্যুদস্ত হয়েছে। সেই ক্ষততে মলম লাগিয়ে তারা নতুন করে জেগে ওঠার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। সচেতন মানুষ সমস্ত পরিস্থিতির দিকেই নজর রেখেছেন।
পুজোয় বাঙালির আনন্দে কালি ছিটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আবার অন্যদিকে বাঙালির আত্মহারা পুজোর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাঙালির স্বার্থবিরোধী একটি পদক্ষেপও চুপিসারে নিয়ে ফেলেছেন। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত দখলদারি বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের। এটা আগে ছিল ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যেই ছিল তাদের যাবতীয় অপারেশন। বিএসএফ দেশের প্রহরীর কাজ করে, এনিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় তাদের কাজকর্ম কিন্তু বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। সীমান্ত অঞ্চলে যাঁরা থাকেন, সেই সব ভুক্তভোগী বিএসএফের একাংশের অত্যাচারের কথা জানেন। সাধারণ নিরীহ কৃষক সহ মা-বোনেরা তটস্থ হয়ে থাকেন। যেভাবে সেখানে অত্যাচার ও জোরজুলুমের ঘটনা ঘটে, তা সভ্য মানুষের পরিচয় বহন করে না। রাষ্ট্রক্ষমতা যাঁরা ভোগ করেন, তাঁরা যদি সৎ না হন, কাজের প্রতি সততা না থাকে, তবে সবকিছু বিশৃঙ্খল হতে বাধ্য। বাংলায় নির্বাচনে হারের বদলা নিতেই এটা করা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। নানাভাবে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত চলছে তো চলছেই। তিন রাজ্যে এই নিয়ম লাগু হয়েছে। এই তিন রাজ্য হল বাংলা, অসম ও পাঞ্জাব। তার মধ্যে বাংলা এবং পাঞ্জাবে বিজেপির ভাঙাচোরা অবস্থা। 
যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় একটি রাজ্যের যে সাংবিধানিক অধিকারটুকু ছিল, সেটাকে খর্ব করতে উঠে পড়ে লেগেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। সমস্ত সংস্থার স্বাধীনতাকে খর্ব করে তাঁরা সেগুলিকে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবহার করে চলেছেন। ইডি, আইটি, সিবিআই, এনআইএ, এনসিবির মতো সংস্থাগুলিকে যেভাবে দাসানুদাসে পরিণত করা হয়েছে, বিএসএফকে এবার সেভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছেন দুই কর্তা।  
অথচ বাঙালির কাছে মুখ্যমন্ত্রী যে স্বস্তিটুকু এনে দিতে চাইছেন, তাতে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা আনার চেষ্টা হচ্ছে। করোনাকালে এরাজ্যের মানুষের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন মমতা। বিভিন্ন খাতে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিয়ে তাঁদের লড়াইয়ের শক্তি জোগানোর চেষ্টা করছেন। ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার গড়ে সেখানে নারীর ক্ষমতায়নের চেষ্টা করছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথী, একশো দিনের কাজ সহ বহুমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে সবসময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। বিপদকালে বা উৎসবের সময়ে তাঁর এই ভূমিকা দেখে অসহায় বিজেপি এখন শুধু ছিদ্রান্বেষীর ভূমিকা পালন করছে এবং কেন্দ্র বারবার চেষ্টা করছে রাজ্যকে বিপাকে ফেলার। 
তবে আজ এই শুভক্ষণে মানুষের আকুল প্রার্থনা— সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো।  
20th  October, 2021
টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! বিশদ

এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।
বিশদ

সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে।
বিশদ

19th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
ক্ষুধার দেশে মোদিজিকে
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা...
হিমাংশু সিংহ

এই অবনমনের ব্যর্থতা শুধু অনাহার আর ক্ষুধার সূচকেই সীমাবদ্ধ নেই। আছে যুদ্ধক্ষেত্রেও। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির সেই দাপট যেন কোথায় স্তিমিত বিগত বেশ কিছুদিন ধরে। নাকি হিসেব তোলা থাকছে আগামী চব্বিশ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ফের কোনও বিতর্কিত ধামাকার জন্য।
বিশদ

17th  October, 2021
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া
স্কুল খোলা উচিত নয়
মৃন্ময় চন্দ

ভারতে স্কুল বন্ধ ১৭ মাস। লকডাউন পর্বে বেহাল শিক্ষার হালহকিকত জানতে বিহারের, ঔরাঙ্গাবাদের বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার সিং, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন লিখিত আকারে পেশ করেছেন। যেমন, করোনা অতিমারীর কারণে রাজ্যভিত্তিক স্কুলছুটের সঠিক তথ্য-পরিসংখ্যান সরকারের কাছে আছে কি না? বিশদ

17th  October, 2021
গণেশ জননী নবপত্রিকাবাসিনী দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত সপ্তশতী চণ্ডীতে দেবী দুর্গা শস্যদেবীরূপে যেন জগতে অবতীর্ণা এ বার্তা দৃপ্ত কণ্ঠে বিঘোষিত। সর্বজীবের প্রাণরক্ষার উপযোগী শাক-শস্যের দ্বারা তিনি পৃথিবীকে পালন করেন তাই মহাজননী শারদেশ্বরীর আর এক নাম শাকম্ভরী।  বিশদ

12th  October, 2021
১৮ লক্ষ প্রদীপ এবং কিছু বাস্তব
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উত্তরপ্রদেশে ১৮ লক্ষ দিয়া জ্বালিয়ে এই অবিচারের অন্ধকার দূর হবে কি? কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে, আপনার তরফ থেকে একটাও বিবৃতি জারি হয়নি। এখনও না। কেন? ওই মানুষগুলো কি এতটুকুরও যোগ্য নয়? করুণা তারা চায়নি। টাকাও নয়। তারা চেয়েছিল বিচার। বিশদ

12th  October, 2021
কার আইন, কার আদেশ?
পি চিদম্বরম

শব্দগুলি জোরে এবং স্পষ্ট, উচ্চাঙ্গে, প্রায় নাটকীয়ভাবে বেজে ওঠে, ‘আমরা, ভারতের জনগণ ... নিজেদেরকে এই সংবিধান দিয়েছি।’ এবং স্বাধীনতা, সৌভ্রাতৃত্ব এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে সবাইকে সুরক্ষিত করার জন্য আমরা আমাদেরকে এই সংবিধান দিয়েছি।
বিশদ

11th  October, 2021
কৃষকের রক্ত লেগেছে
হাতে তবু পুলিস নির্বিকার...
হিমাংশু সিংহ

সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় কেন্দ্রকে নিশানা করে যোগী সরকারকে জোরালো ভর্ৎসনা না করলে হয়তো গ্রেপ্তারির প্রক্রিয়া শুরু হতো না। সমনের নোটিসও ইস্যু হতো না মন্ত্রিপুত্রের নামে। শুধু একটা এফআইআর করেই দায় সারতে চেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যেন মৃতদের পরিবারের জন্য নেহাতই একটা সান্ত্বনা পুরস্কার।​​​
বিশদ

10th  October, 2021
 মমতাকে আটকানোই যেন লক্ষ্য না হয়
 
​​​​​​​

কেউ উপরে উঠতে গেলেই শুরু হয়ে যায় টেনে নামানোর মরিয়া চেষ্টা। কর্মক্ষেত্র থেকে রাজনীতি, সর্বত্র একই ছবি। সেই কারণে মুখে মুখে ছড়ানো ‘বাঙালি কাঁকড়া’র গল্প এত জনপ্রিয়। জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাড়তেই শুরু হয়েছে তাঁকে টেনে নামানোর লড়াই।​​​​​​
বিশদ

09th  October, 2021
একনজরে
১০০ কোটির ভ্যাকসিনেসন! ভারতের ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই একটা মাইলস্টোন। ডবল ডোজই শুধু নয়, প্রয়োজনে বুস্টার ডোজও দেওয়া সম্ভব। জানিয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান আদর ...

হুগলির বলাগড়ে গঙ্গার চরেই গড়ে উঠবে নয়া নদী বন্দর। তৈরি হবে দু’টি বার্থ টার্মিনাল। তার একটি নির্দিষ্ট থাকবে কয়লার জন্য। অন্যটিতে ওঠানামা করবে কন্টেনার। এই ...

শহরে মেগা স্পোর্টস টাউনশিপ গড়ছে মার্লিন গ্রুপ। পূর্ব ভারতে এই প্রথম কোনও আবাসন নির্মাতা সংস্থা এমন থিম ভিত্তিক প্রকল্প গড়ছে বলে দাবি করেছে তারা। টাউনশিপ ...

শক্তিগড়ে দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের পূর্ব বর্ধমান জেলায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু
১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম
২০০৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের মৃত্যু
২০০৮: চন্দ্রায়ন-১-এর সূচনা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.০৭ টাকা ৭৫.৭৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮১ টাকা ১০৫.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৫.৮১ টাকা ৮৮.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৭/৬ রাত্রি ১২/৩০।  ভরণী নক্ষত্র ৩৩/১০ রাত্রি ৬/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৩৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৫/২/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
৪ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১০/৩৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি  ৬/২৭। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২২ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারত-ইংল্যান্ড পরিত্যক্ত টেস্টটি নতুন বছরেই
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পরিত্যক্ত পঞ্চম টেস্টটি নতুন বছরে অনুষ্ঠিত হবে। আজ, ...বিশদ

06:26:11 PM

রাজ্যে আরও ২টি নতুন পুরসভা
রাজ্যে বাড়ল আরও দুটি পুরসভা। ময়নাগুড়ি ও  ফালাকাটা। এই দুই ...বিশদ

06:19:53 PM

গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ২
গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। ...বিশদ

05:35:14 PM

ট্রেকিংয়ে গিয়ে নিঁখোজ: রাজ্যের ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন
কুমায়ন রেঞ্জে ট্রেকিং করতে গিয়ে গাইড সহ নিখোঁজ রাজ্যের পর্যটকদের ...বিশদ

05:29:21 PM

চেতলা বস্তিতে আগুন, জখম ২ শিশুসহ ৪
ফের অগ্নিকাণ্ড শহর কলকাতায়। এবার চেতলার বস্তিতে।  একটি ঝুপড়ি বাড়িতেই ...বিশদ

02:31:00 PM

ত্রিপুরায় সাংসদ সুস্মিতা দেবের গাড়ি ভাঙচুর
ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর আবারও হামলার অভিযোগ। শুক্রবার ত্রিপুরায় নতুন কর্মসূচি ...বিশদ

02:29:03 PM