নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ভূস্বর্গের পরিস্থিতি। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। তাই সরকারকে এই ব্যাপারে অবিলম্বে জবাবদিহি করতে হবে বলে দাবি করল কংগ্রেস। যদিও বসে নেই সরকার। তারাও তৎপর। বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে দু’দিনের সফরে জম্মু গেলেন সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে। লাইন অব কন্ট্রোলের কাছাকাছি এলাকা তিনি পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, দিল্লিতে গোয়েন্দা প্রধান অরবিন্দ কুমার, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সহ আধা সামরিক বাহিনীর কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পাকিস্তানি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নেটওয়ার্ক ভাঙার কৌশল নিয়ে বিশেষভাবে চর্চা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, নেটওয়ার্ক ভাঙতে এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি), জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস এবং গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি) যৌথ অপারেশন আরও বাড়াবে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫এ বাতিল হওয়ার পরেও কাশ্মীর স্বাভাবিক, এমন বার্তা দিতে মরিয়া মোদি সরকার। কিন্তু আচমকাই ফের অশান্ত হয়ে উঠছে ভূস্বর্গ। বিশেষত, ভিন রাজ্যের বাসিন্দার প্রাণ যাওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরাল হচ্ছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। সরব হয়েছেন বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশকুমারও। কারণ, কেন্দ্রের হাতে থাকার পরেও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে কথাও বলেছেন নীতীশকুমার। ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা ভয়ে রয়েছেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার এমপি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
অন্যদিকে, নিজের পিঠ চাপড়ানোর পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তিনি বলেছেন, আমি যখন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলাম, তখন শ্রীনগরের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও সন্ত্রাসবাদী ঢোকার সাহস পায়নি। কিন্তু এখন তারা নিরীহ গরিব মানুষ মারছে। বিষয়টি খুবই দুঃখের। সত্যপাল মালিক যেভাবে নাম না করে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। তারই মধ্যে চেপে ধরেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান অধীররঞ্জন চৌধুরী। অধীরবাবু বলেছেন, মোদি সরকার দাবি করেছিল সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু কোথায় হল? কেন এমন হচ্ছে, সরকারের কী অবস্থান, তার জবাব দিতে হবে।