কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বিজেপির অন্দরের খবর, কেন্দ্রের মোদি সরকার করোনা সামাল দিতে পারেনি, মূলত এই ধারণাই তৈরি হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের মনে। যার অবশ্যম্ভাবী প্রভাব পড়ে বিগত এপ্রিল মাসের পাঁচ রাজ্যের ভোট যন্ত্রে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপির কাছে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি যাতে উত্তরপ্রদেশে না হয়, তা মাথায় রেখেই করোনা মোকাবিলাকে হাতিয়ার করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা।এর ইঙ্গিত মিলেছে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পান্ডার কথাতেও। এদিন তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতে কোভিড মোকাবিলা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে হচ্ছে। অনেকেই বলেছিলেন, ভারত ঠিকমতো কোভিড মোকাবিলা করতে পারবে না। কিন্তু তাঁদের ভুল প্রমাণ করে প্রায় প্রতি সপ্তাহে দেশে করোনার টিকাকরণে কোনও না কোনও বিশ্ব রেকর্ড হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে করোনার টিকাকরণ ১০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁতে চলেছে। এই সাফল্যের উপর দাঁড়িয়েই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি সম্পূর্ণ তৈরি।’ বিজেপির ওই শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, ‘মূলত পাঁচ ভোটরাজ্যকে নজরে রেখে দেশব্যাপী অভিযান কর্মসূচিও তৈরি করতে চলেছে বিজেপি।’ উল্লেখ্য, এই পাঁচ রাজ্যের পরপরই ভোট রয়েছে গুজরাত এবং হিমাচলপ্রদেশেও। ফলে শেষোক্ত দুই রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতিও একইসঙ্গে সেরে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
বৈঠকে নাড্ডা বলেছেন, ‘কেন্দ্রের সব উন্নয়নমূলক কাজেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। সারা দেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কোভিড মোকাবিলার সাফল্যের পাশাপাশিই কেন্দ্রের যাবতীয় কর্মসূচির সুফল নিয়ে ব্যাপক প্রচার গড়ে তুলতে হবে।’ এদিন বৈঠকের পর বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পাঁচ রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি এক বছর আগে থেকেই শুরু করেছে বিজেপি। সোমবারের বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে কোনও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা নেই। তাই কৃষক আন্দোলনের নামে বাইরে থেকে লোক এনে নাটক করা হচ্ছে, উৎপাতের চেষ্টা চলছে।