উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
শুধু ডিভিসিই নয়, জল ছাড়া শুরু হয়েছে মাইথন, তিলপাড়া ও পাঞ্চেত জলাধার থেকেও। তার জেরে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাইথন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় বিপত্তি আরও বেড়েছে। শুক্রবার একদিনে মাইথনের জলস্তর আট ফুট বেড়ে গিয়েছে। জলস্তর বেড়েছে ঝাড়খণ্ড সীমানা সংলগ্ন বীরভূমের মুরারই-১ ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাগলা, সরবতী ও বাঁশলই নদীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বেশ কিছু এলাকা শুক্রবার রাত থেকে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, উদয়নারায়ণপুরে কমপক্ষে ১৫টি জায়গায় নদীবাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক। স্পিল জোন হওয়ার কারণে এখানে বাঁধ বেশি উঁচু করা যায় না। তাই জলস্তর বেড়ে বাঁধ উপচে যাওয়ার ঘটনাও এখানে বেশি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সঙ্গেই নবান্নে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দিন-রাত কাজ চলবে সেখানে। প্লাবনের শঙ্কাকে মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী এবং ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। বন্যার ভ্রুকুটি সেখানেও। রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারকে সতর্ক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। কারণ, আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, রবিবারও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় মাঝারি থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। তবে কাল, সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।
শনিবার জল ছাড়া হচ্ছে মাইথন জলাধার থেকে। -নিজস্ব চিত্র