উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বিনামূল্যে স্কুল-কলেজে ভর্তির মতো কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমরা দুই সন্তান নীতি কার্যকর করতে পারব না। কিন্তু রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলিতে এই নীতি চালু হবে। ধীরে ধীরে রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের এই নীতি লাগু করা হবে। উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই অসমে দুই সন্তান নীতি চালুর পক্ষে জোরালো সওয়াল করে আসছেন শর্মা। সেজন্য বিরোধীদের ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখেও পড়তে হচ্ছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ, তাঁর মা-বাবার পাঁচ সন্তান। এদিন বিরোধীদের সেই সমালোচনার জবাব দেন শর্মা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মা-বাবা বা অন্য কেউ সেই ১৯৭০ সালে কী করেছেন, তা নিয়ে এখন কথা বলার কোনও মানে হয় না। কিন্তু বিরোধীরা এইসব অদ্ভুত কথা বলে আমাদের সত্তরের দশকে ফিরিয়ে দিতে চাইছে।’
গতমাসেই মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন শর্মা। কয়েকদিন আগেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে সঠিক পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের অনুরোধও করেন। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে অসমের বাংলাদেশি মুসলিমদেরও নিশানা বানান মুখ্যমন্ত্রী। ওই মন্তব্যের জন্য বদরুদ্দিন আজমের এআইইউডিএফ সহ বিরোধী দলগুলি কড়া সমলোচনা করে শর্মার। তবে বিরোধীদের সমালোচনা সত্ত্বেও রাজ্যে দুই সন্তান নীতি কার্যকরে তিনি যে মরিয়া, এদিন সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, অসমে টিকাকরণের গতি বাড়ানো নিয়ে এদিন নতুন পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করলেন শর্মা। তিনি জানান, সোমবার থেকে রাজ্যে প্রতিদিন তিন লক্ষ করে টিকাকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। টানা ১০ দিন সেই পথে এগনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।