উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ডাঃ গুলেরিয়া বলেছেন, যেহেতু রাজ্যে রাজ্যে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে, তাই আবার কোভিড প্রোটোকল সম্পূর্ণভাবে মান্য করা হবে না। বিপুল সংখ্যক মানুষ যে সতর্কতা ও বিধিনিষেধের গণ্ডি লঙ্ঘন করবে, সেটা নিয়ে সংশয় নেই। সুতরাং, কোভিড আবার সংক্রমণের সুযোগ পেয়ে যাবে। এই অসতর্কতার মধ্যেই দেড় থেকে দু’মাসের ব্যবধানে আসতে চলেছে তৃতীয় সংক্রমণের ঢেউ। ঠিক এই আবহে সবথেকে বড় উদ্বেগ হল, টিকাকরণের গতি। এখনও পর্যন্ত ২৭ কোটির কিছু বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ, বাকি রয়ে গিয়েছে প্রায় ১০৮ কোটি ভারতবাসী। তাদের এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ নেওয়া হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে তৃতীয় ঢেউ এলে বিপুল সংখ্যক মানুষ যে আবার সংক্রামিত হতে পারেন, সেই আতঙ্ক থাকছেই।
এই পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান ভ্যাকসিন দেওয়ার হার বাড়াতে হবে বিপুলভাবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১১০ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন প্রদান সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, যে হারে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাতে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে সেই লক্ষ্যপূরণ করা কি আদৌ সম্ভব? বিশেষ করে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া কবে সমাপ্ত হবে, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। কারণ, ২৭ কোটির হিসেবটা একটি ও দু’টি ডোজ মিলিয়ে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন আবার খুলে গেলেও সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সতর্কতা নিতে বলছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা পরিকাঠামোয়। দ্বিতীয় ঢেউ যে সঙ্কট দেখিয়ে দিয়েছে, সেই অক্সিজেন থেকে হাসপাতাল বেড, ওষুধ থেকে চিকিৎসা উপকরণ যাতে আগামী দিনে সহজলভ্য হয়, সেটা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য আবার সমন্বয় বৈঠক করবে বলে জানা যাচ্ছে।